বুধবার সকালে বীরভূমের সিউড়িতে চা চক্রে পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করার পাশাপাশি বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে ‘তৃণমূলের দলদাল’ বলে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে থাকেন পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা। তৃণমূলের দলদাস হয়ে জেলার প্রশাসনিক কর্তারা কাজ করছেন।
এদিন সকালে গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে পুলিশ–প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যে জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক তৃণমূলের অফিসে বসে জ্ঞান শোনেন, তাঁদের কাছ থেকে আর কী–ই বা আশা করা যেতে পারে। তাঁরা রাজনৈতিক দলের কর্মীর মতো ব্যবহার করছেন।’
রাজ্য বিজেপি সভাপতির কটাক্ষ, ‘থানার ওসি–রা তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে গিয়েছেন আর পুলিশ সুপাররা হয়ে গিয়েছেন জেলা সভাপতি। যদি কোনও পুলিশ সুপার দলের কথা না শোনে, তাঁদের ৬ মাসের মধ্যে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এখানে শাসকদেলর তাবেদারি করতে হবে। আর এর বিরুদ্ধে বীরভূমের লোকজন পরিবর্তন চাইছেন। আর তা করে দেখাবে বিজেপি।’
দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় রাজ্যপালের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষের মতো ঠিক একই লাইনে কথা বলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা সর্বভারতীয় পরিষেবা দেন। তাঁরা কেউ তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেন না। তাঁরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ আইএএস, আইপিএস অফিসার। তাঁরা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। তাঁরা এ সব কাজ করেন না।’
পশ্চিমবঙ্গ দ্বিতীয় কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে, পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা তৃণমূলের দলদাস— বুধবার সকালে একের পর এক মন্তব্যে রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপি–র সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তিনি নাকি শুধুই ‘মাইক্রোফোন’, আওয়াজ আসছে অন্য কোথা থেকে। এমনই দাবি করলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম।
এদিন তিনি বলেন, ‘এ সব তো দিলীপ ঘোষ বলছেন না। দিলীপ ঘোষ আসলে মাইক্রোফোন। এর পিছনে রয়েছে বিজেপি–র আইটি সেল, অমিত মালব্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মতো মস্তিষ্করা। এদিকে, তৃণমূলে সকলকে কী বলতে হবে তা বলছেন প্রশান্ত কিশোর। আর বিজেপি–তে সকলকে বুঝিয়ে–পড়িয়ে নিচ্ছেন অমিত মালব্য, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে ওরা যেভাবে রাজনীতি করেছে, সেটাই এখন পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসছে।’