এক মহিলার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুই মহিলা সহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি নদিয়ার তাহেরপুর থানার দোসতীনা-খামার শিমুলিয়া এলাকার। আক্রান্ত মহিলার নাম মৌসুমী বিশ্বাস। তার স্বামী বাবুলাল বিশ্বাস একজন সিপিএম কর্মী ছিলেন। তিন বছর আগে তাকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই খুন মূল অভিযুক্ত সঞ্জিত ঘোষের বাড়ির লোকেরা মৌসুমীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ।
বোরখা পরতে না চাওয়ায় অশান্তি শুরু, স্ত্রী রুপালিকে 'খুন' ইকবালের: রিপোর্ট
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে বাবুলালের স্ত্রী মৌসুমী ননদের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় সঞ্জিতের পরিবারের সদস্যরা তার পথ আটকায় এবং তাকে মারধর করে। এর পরেই তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তা দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে রক্ষা করে। মৌসুমীর অভিযোগ, তার স্বামীর খুনের মামলায় সাক্ষী দেওয়ার জন্যই তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করছিল সনজিতের পরিবারের সদস্যরা। এর আগেও তাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর খুন হয়েছিলেন সিপিএম কর্মী বাবুলাল বিশ্বাস। কাজ থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। খুনে অভিযোগ উঠেছিল সঞ্জিত ঘোষ সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। জমি জায়গা সংক্রান্ত বিভাগের জেরে সঞ্জিত ঘোষ এবং তার দলবল তাকে খুন করেছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ সঞ্জিত সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। মৌসুমীর দাবি, সঞ্জিত গ্রেফতারের পরেই তার পরিবারের সদস্যরা এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি তারা বাড়ি ফিরেছে এবং বাড়ি ফেরার পর থেকেই তাকে এই মামলায় সাক্ষী না দেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।