বিজেপির নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে সরকারি কর্মচারী হিসাবে পুলিশকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই ছবি দেখেছে সবাই। এবার এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা–কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠিয়ে দিলে কেমন হতো? বলে টুইট করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। পয়গম্বর বিতর্কে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যোগী রাজ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তারপর বিক্ষোভকারীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের পর একই পথের কথা টুইট বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
ঠিক কী লিখেছেন মহুয়া টুইটে? বিজেপির নবান্ন অভিযানে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। আর তা নিয়ে যোগী মডেল মনে করিয়ে দিলেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ টুইটে লেখেন, ‘বাংলা যদি ভোগী অজয় বিস্তের মডেল ব্যবহার করে, যারা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেছে সেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বুলডোজার পাঠাত, তাহলে কেমন হত? বিজেপি কি নিজেদের নীতিতে অনড় থাকবে?’
কেন এমন টুইট করলেন মহুয়া? কিছুদিন আগে পয়গম্বর বিতর্কের জেরে উত্তরপ্রদেশে অশান্তি হয়েছিল। তারপর বুলডোজার চলেছিল কানপুর, সাহারানপুর, প্রয়াগরাজে। হিংসায় যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়ি–ঘরের উপর বুলডোজার চালানো হয়েছিল। তা নিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। তাই এবার সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিজেপিকে আক্রমণ করলেন মহুয়া মৈত্র। তবে জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের প্রমাণ মেলেনি। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভা ভাঙচুরের জন্য জরিমানা দিন।’ যদিও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল বিজেপির নবান্ন অভিযানে? বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়েন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। লালবাজারের কাছে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। পুলিশের এসি পদমর্যাদার অফিসারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ জলকামান, কাঁদানে গ্যাস এবং আটক করে।