লকডাউনের জেরে কোটায় আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২,৮০০ ছাত্রছাত্রীকে বাস ভাড়া করে বাড়ির পথে রওনা করেছে রাজস্থান সরকার। সেজন্য ভাড়া করতে হয়েছে ১০১টি বাস। বুধবার একথা জানিয়েছেন মরুরাজ্যের কোটা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক নরেন্দ্র গুপ্ত।
রোহিত কুমার সাইনি নামে উত্তর ২৪ পরগনার এক বাসিন্দা জানিয়েছে, ‘সব রাজ্যের ছাত্ররা বাড়ি চলে গিয়েছিল। হস্টেলে পড়ে ছিলাম আমি একা।’
জানা গিয়েছে, বাসগুলির জন্য ৩টি গন্তব্য ঠিক করা হয়েছে। সেই অনুসারে বাসে উঠেছেন পড়ুয়ারা। বাসে ওঠা ও নামার সময় তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। বাসগুলি পৌঁছবে কলকাতা, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে।
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী টুইটারে লেখেন, ‘আমি যতদিন আছি ততদিন যেন বাংলার কেউ নিজেকে অসহায় মনে না করেন।’ সঙ্গে তিনি জানান, কোটা থেকে ছাত্রছাত্রীদের ফেরত পাঠাতে রাজস্থান সরকারকে বাসের বন্দোবস্তো করতে অনুরোধ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘১,৭০০ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে ওদের আসতে তিন রাত্রি লাগবে। আমরা বলেছি পাঠিয়ে দিন। আমরা ভাড়া দিয়ে দেব।’ বলে রাখি, গত ২১ এপ্রিল রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, কোটা থেকে ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো সম্ভব নয়। প্রশ্ন উঠছে, লকডাউনের এক মাস পর কেন কোটায় আটকে থাকা ছাত্রছাত্রীদের জন্য মন কেঁদে উঠল মুখ্যমন্ত্রীর? এই ব্যবস্থা তো আগেই করা যেত।
ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গুজরাত, হরিয়ানা, পঞ্জাব, রাজস্থান, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, অসম ও ছত্তিসগড়ের ছাত্রছাত্রীরা কোটা থেকে বাড়ি ফিরেছেন। উত্তর প্রদেশ সরকার প্রায় ২৩,০০০ ছাত্রছাত্রীকে কোটা থেকে বাড়ি ফিরিয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের পড়ুয়াদের পাশাপাশি কোটা থেকে বাসে বাড়ি রওনা দিয়েছেন কর্নাটকের কিছু পড়ুয়াও।
তবে কোটায় এখনো আটকে রয়েছেন বিহারের প্রায় ১০,০০০ ছাত্রছাত্রী। রাজ্য সরকারের কাছে বাস পাঠানোর দাবি জানিয়ে সম্প্রতি বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।