রাজ্যে পেট্রোল–ডিজেল সেঞ্চুরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি বাস বিপাকে পড়েছে। একই ভাড়ায় এভাবে দিনের পর দিন টানা সম্ভব নয় বলে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন বাস–মালিক সংগঠনের কর্তারা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ জুনের পর পশ্চিমবঙ্গে বাস ভাড়া বাড়েনি। সেখানে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। তাতে হিমসিম খাচ্ছেন বাস–মালিকরা। অনেকেই বাস রাস্তায় নামানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে এখন চাপ পড়ছে সরকারি বাসের উপর। কিন্তু লোকসান মেনে নিয়ে তাঁরাও কতদিন বাস চালাতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বেসরকারি বাস–মালিকদের বক্তব্য, ভাড়া না বাড়লে বাস বন্ধ পুরোপুরি হয়ে যাবে। তাই ভাঁইফোটার পর বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেট্রোল–ডিজেলের দাম বাড়ছে। তাতে বাস–মালিকদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে। এইদিকটা দেখতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাঁইফোটার পর বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব।’
বেসরকারি বাস–মালিকরা দাবি করেছেন অবিলম্বে ভাড়া বাড়াতে হবে। সরকারি ভর্তুকিতে সমস্যা মিটছে না। এখন প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী ভাড়া বাড়বে? এই সম্ভাবনা জিইয়ে রেখে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘বাস–মালিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।’
ভাড়া–বৃদ্ধি নিয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাস তো আর জলে চলে না। পেট্রোল–ডিজেলের এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাস রাস্তায় নামানো সম্ভব নয়।’ কিন্তু সেটা কী সম্ভব হবে? উত্তর দেননি অন্যান্যরা। তবে কালীপুজো–ভাইফোঁটা মিটলে কোমর বেঁধে তাঁরা নামবেন বলে জানিয়েছেন।