বেলঘরিয়া নন্দননগরের সমবায় সোসাইটিতে কোটি কোটি টাকার তছরূপের অভিযোগ। কষ্টের টাকা তিল তিল করে সোসাইটিতে জমা রেখেছিলেন গ্রাহকরা। কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে সেই সোসাইটি কার্যত তালাবন্ধ হয়ে যায়। এদিকে লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সোসাইটি জমা রেখেছিলেন বাসিন্দারা। টাকা না পেয়ে বুধবার সমবায় সোসাইটির সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা।
বীনা গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক গ্রাহক বলেন, বেলঘরিয়া কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে আমার দুলাখ টাকা আছে। ওনারা ক্রমশ নানা ছল ছাতুরি করতেন। বেশি টাকা তোলাই যেত না। এখন বোর্ডই খুলে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ আর আসেও না। সব মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা জমা রয়েছে ওই সমবায় সোসাইটিতে। অপর এক গ্রাহক বলেন, আমি অন্যের বাড়িতে রান্না করতাম। আমি দেড় লাখ টাকা জমা রেখেছিলাম। কিন্তু মেয়ের বিয়ের আগেও টাকা পাইনি। হাতে পায়ে ধরেছি। দশ দিনের মাথায় মেয়েকে সেই যে বাড়িতে বসিয়ে দিয়ে গেল। এখনও নিয়ে যায়নি। ওই টাকাটা থাকলে মেয়ের এই পরিণতি হত না। অপর এক গ্রাহক বলেন, বেলঘরিয়া মিনি কো অপারেটিভ সোসাইটিতে তিন লক্ষ, ২৫ হাজার টাকা জমা রেখেছিলাম। কিন্তু সেই টাকা আর পাচ্ছি না। আমি একজন হকার। আমার টাকার খুব দরকার। কিন্তু টাকা পেলাম না।
বোর্ডের বিদায়ী সম্পাদক গৌরাঙ্গ নাগ জানিয়েছেন, আমার তরফ থেকে যা করার সব করেছি। অনেক চেষ্টা করেও আমরা হিসাবটা পাইনি। হাতে কিছু টাকা ছিল তা দিয়ে দিয়েছি। দুজন কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছি।