ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কেনেন বাগানবাড়ি, ED-র নজরে অয়নের বাবার অ্যাকাউন্টও

অয়নের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল শ্বেতা চক্রবর্তীর লেনদেনও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। শ্বেতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কামারহাটি পুরসভার উলটো দিকে অয়ন ও শ্বেতা যৌথ মালিকানায় ৭০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে।

শনিবার রাতে ইডির পাহারায় বিধাননগরের বাড়িতে ঢুকছেন অয়ন শীল। 

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গত কয়েকদিন ধরে চর্চার কেন্দ্রে অয়ন শীল। প্রতিদিনই প্রকাশ্যে আসছেন অয়নের সম্পত্তি ও প্রতিপত্তির নতুন কাহিনী। তবে ছেলের কীর্তি তাঁর কিছুই জানা ছিল না বলে দাবি করেছেন অয়নের অশীতিপর বাবা। যদিও তাতে আশ্বস্ত নয় ইডি। অয়নের বাবা ও ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

ইডি সূত্রে খবর, কালো টাকা সাদা করতে বিবিধ ফন্দি এঁটেছিলেন অয়ন। নানা ভাবে টাকা বিনিয়োগ করতেন তিনি। নিজের ঘনিষ্ঠ ও কর্মচারীদের মাধ্যমেও টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি। সেই সূত্রেই অয়নের বাবা সদানন্দ শীল ও ছেলে অভিষেক শীলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে ইডি। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন শুক্লা সার্ভিস সেন্টার নামে একটি পেট্রল পাম্পের মালিক অয়ন। সেই কারবারের কোটি কোটি টাকা গিয়েছে অয়নের ছেলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এছাড়া অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে ‘দ্য ফসিলস’ নামে একটি ফার্ম হাউজও কিনেছেন তিনি।

অয়নের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল শ্বেতা চক্রবর্তীর লেনদেনও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। শ্বেতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া কামারহাটি পুরসভার উলটো দিকে অয়ন ও শ্বেতা যৌথ মালিকানায় ৭০ লক্ষ টাকা দামের ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই ফ্ল্যাটে গত সপ্তাহেও দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। কামারহাটি পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন শ্বেতা। ইতিমধ্যে তাঁর নিয়োগপ্রক্রিয়া খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুরসভা কর্তৃপক্ষ।

গোয়েন্দাদের অনুমান, শুধুমাত্র পুরসভার চাকরি বিক্রি করেই ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন। তবে সেই টাকা পুরোটাই তাঁর কাছে রয়েছে, না প্রভাবশালীদের কাছে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ইডি।