আগামিদিনে মোদীজীকে হারাতে লড়াইয়ের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলের যোগদানের পর বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে এই কথাই জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এই ঘটনা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপির লোকজন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। অন্যদিকে যোগদানের পর প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তৃণমূলের দুই–একজন নেতা।
গত শনিবার প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র তৃণমূলে যোগদানের পর রাজ্য-রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। মাসখানেক আগে বিজেপির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল। এরপর আচমকাই তৃণমূলে যোগদান অনেককেই চমকে দিয়েছিল। তারইমধ্যে কল্যাণ জানান, ‘সপ্তাহখানেক আগে বাবুল আমাকে বলেছিল, ওর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানদের তুলে নেওয়া হয়েছে। দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলে রাজ্য সরকারের তরফে যদি নিরাপত্তা দেওয়া যায়। আমি দিদিকে ফোন করি। বিষয়টি তাঁকে জানাই। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।’ একইসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ জানান, বিজেপির অনেক নেতারাই এখন বুঝে যাচ্ছেন, আগামিদিনে লড়াইয়ের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। সকলে একসঙ্গে লড়লে নরেন্দ্র মোদীকে চলে যেতেই হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্যতম প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়েছিল। এরপর বিধানসভা ভোটের পর থেকে বাবুলের সঙ্গে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের দুরত্ব বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত দলের সদস্যপদ আচমকাই ছেড়ে দেন বাবুল। এরপরই আচমকাই তাঁর তৃণমূলে যোগদান নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। সম্প্রতি তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজি কটাক্ষের সুরেই জানান, ‘বাবুলের এখন জ্ঞান ফিরেছে। ভেন্টিলেটরে ছিল। অক্সিজেন চলছিল। সোডিয়াম, পটাশিয়াম কম ছিল। বিজেপিতে থেকে একেবারে ল্যাটা মাছের মতো কাতরাচ্ছিল। এখন গণতান্ত্রিক পরিবেশে দিদির আঁচলের থেকে ভালোভাবে জনসেবা করতে পারবে।’