রাজ্যে রামনবমী হিংসার স্মৃতি এখনো টাটকা। একাধিক জায়গায় রামভক্তদের মিছিলে হামলা ও তাদের বাড়ি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা এখনো ভুলতে পারেননি অনেকেই। এর মধ্যে হাজির হয়েছে বখরি ইদ। পঞ্চায়েত প্রচারপর্বের মধ্যে বখরি ইদকে কেন্দ্র করে যাতে কোথাও কোনও অশান্তি না ছড়ায় সেজন্য জেলাগুলির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
এদিন নবান্নে এক ভার্চুয়ার বৈঠকে মুখ্যসচিব বলেন, বখরি ইদের আগে কিছু জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা হতে পারে। যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিভাজন করে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে কিছু লোক। এই চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। গোয়েন্দাতথ্য যাতে সঠিক ভাবে আসে তার ব্যবস্থা করতে হবে। ছোটখাটো ঘটনাকেও অবহেলা করলে চলবে না। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পৌঁছে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আগামী বুধবার ইদ উল আদহা বা বখরি ইদ। এই দিন হজের শেষে ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রিয় কোনও জিনিস উৎসর্গ করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। সাধারণত গৃহপালিত কোনও পশুকে উৎসর্গ করার চল রয়েছে বিশ্বজুড়ে।
বলে রাখি, গত মার্চ মাসে রামনবমীর মিছিলে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা অটুট রাখতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। হাওড়ার শিবপুর, হুগলির রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় রামভক্তদের ওপর হামলা হয়। যদিও হামলার জন্য রামভক্তদেরই দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।