পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের জনগণকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাজ্য সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। তাঁর টুইটে তৃণমূল নেত্রী একটিবারের জন্যও কংগ্রেসের নাম উচ্চারণ করেনি। অন্য দিকে জন সংযোগ যাত্রায় বর্ধমানে রয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই সাফল্য জন্য ভারত জোড়ো যাত্রাকে কৃতিত্ব দিতে নারাজ। তাঁর মতে, বাংলাই পথ দেখিয়েছিল যে শুধু ধর্মের নাম ভোট বাক্স ভরানো সম্ভব নয়। সেই পথে দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে এসেছে সাফল্য।
মমতা তাঁর টুইটে লিখেছেন, 'পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য কর্ণাটকের জনগণকে আমার অভিবাদন। নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী ও সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনীতি পরাজিত। মানুষ যখন বহুত্ব ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে জয়ী করতে চায়, তখন আধিপত্য বিস্তারের কোনো কেন্দ্রীয় নকশা তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দমন করতে পারে না। এটাই এই গল্পের নীতি, আগামিকালের শিক্ষা।'
পরে শনিবার কালীঘাটে নিজের বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দুর্বিষহ ব্যবহার। কর্ণাটকের মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এটা শেষের শুরু। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে একটা ইঙ্গিত। এরপর রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের নির্বাচনেও হারবে বিজেপি।'
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২৪ আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় ১৩৬টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। বিজেপি এগিয়ে ৬৪টি আসনে। এখনও পর্যন্ত ২০টি আসনে এগিয়ে জেডিএস। এছাড়া অন্যান্যরা এগিয়ে ৪টি আসনে।
আগামী ২৭ তারিখ দিল্লি যেতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের একটি বৈঠকে পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির একটি বৈঠকে যোগ দিতে পারেন তিনি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের ডাকে এই বৈঠক হতে পারে। সেই বৈঠকের আগে কর্ণাটকে বিজেপির বিরুদ্ধে এই জয় অক্সিজেন জোগাবে বিরোধীদলগুলিকে।
তবে প্রশ্ন হল, বিরোধীদলগুলির বৈঠক যদি হয় তবে এই জয়কে হাতিয়ার করে সেই বৈঠকে কী অবস্থান নেবে কংগ্রেস? তবে কি মমতা টুইটে কংগ্রেসের নাম না উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি এখনও চাইছেন না বিরোধী দলগুলির নেতৃত্বে দিক কংগ্রেস?