দুর্গাপুজো চলে গিয়েছে। কালীপুজো যাচ্ছে। ভাইফোঁটাও এসে গেল। এখনও ধর্নাস্থলেই হাপিত্যেশ করে বসে রয়েছেন টেট চাকরিপ্রার্থীরা। ৫৯১ দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না। অনেকেই আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি যেতে চাইছেন না। কার্যত রাস্তায় বসে রয়েছেন তাঁরা। আর সেখানেই ভাইফোঁটা সারলেন তাঁরা। আসলে আন্দোলনস্থলেই অনেকের মধ্যেই ভাই, বোন, দাদার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার তাঁদেরই ভাইফোঁটা হল আন্দোলনস্থলেই।
এদিন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে যান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে আন্দোলনকারীরা তাঁদের দাবির কথা দিলীপ ঘোষের কাছে তুলে ধরেন। এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী তাঁকে বলেন, স্যার আমাদেরটাও একটু দেখুন। দিলীপ ঘোষ এদিন তাঁদের মিষ্টিমুখ করান। তাঁদের হাতে নতুন জামাকাপড় তুলে দেন।
এদিকে ধরনামঞ্চে উপস্থিত হন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। এদিন তাঁকেও ভাইফোঁটা দেন আন্দোলনকারীরা। আসলে এই ভাইফোঁটার মাধ্যমে তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার উদ্যোগ। এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, আন্দোলনমঞ্চ এখন একটা পরিবার। সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। এই ভাইফোঁটা তারই পরিচয়।
এতসব কিছুর পরে কোথাও যেন মনের কোণে তীব্র ব্যাথাটা এদিন আরও একবার জেগে উঠল আন্দোলনকারীদের মধ্যে। অনেকেই এবারও বাড়িতে অপেক্ষায় থাকা ভাই বা দাদাকে ফোঁটা দিতে পারবেন না। চোখের কোণে জল। একটাই প্রশ্ন আর কতদিন এভাবে বসে থাকতে হবে তাঁদের?