একুশের কলকাতা পুরভোটে সবুজ ঝড়ে ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে বিজেপির হতে এসেছে মাত্র ২টি ওয়ার্ড। পুরভোটের ফল বলছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যা ভোট পেয়েছিল এবার তার থেকেও খারাপ অবস্থা দলের। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতা পুর এলাকায় অধিকাংশ আসনেই বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে ছিল। কিন্তু, মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে সমীকরণ পুরোটাই উল্টে গেল। পুর ফল অনুযায়ী কলকাতার তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডগুলিতে কংগ্রেস এবং বামেদের থেকেও পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল চতুর্থ স্থানে রয়েছে। বিজেপির এরকম ভরাডুবি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
পুরসভা নির্বাচনে কেন এরকম ফল? তা জানতে চেয়ে বিজেপির রাজ্য নেতাদের দিল্লিতে ডাক পড়ল। কলকাতা পুর নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় নেতারা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সংঘটন বি এল সন্তোষ, শিবপ্রকাশের মতো কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা এই বৈঠকে যোগ দেন। এই সমস্ত বিষয়ের পাশাপাশি দলের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে।
এবারের পুরভোটে যেখানে বামেরা ১২ শতাংশ ভোট পেয়েছে সেখানে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়েও বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ ভোট। পুরভোটে প্রার্থী ঘোষণার পরেই বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল তীব্র হয়েছিল। তবে পুর নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর তা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। যদিও পুরভোটে খারাপ ফল নিয়ে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব শাসকদলকেই দায়ী করেছেন। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল যেভাবে ছাপ্পা ভোট করেছে তার ফলে বিরোধীদের পক্ষে বেশি আসন পাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব ছিল না। নির্বাচনের ফলের দিন সেই আশঙ্কায় ফাঁকা ছিল বিজেপি দফতর। শুধুমাত্র নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি।