ভোট–কুশলী প্রশান্ত কিশোরের দাবি, বিজেপি দুই অঙ্ক পেরোতে পারবে না বাংলার নির্বাচনে। এই সমীক্ষা কী ঠিক? উত্তর খুঁজতে নেমে পড়েছেন বিজেপি’র নেতারা। আর তাই রাজ্যের ২৯৪টি আসনে সংগঠনের হাল– হকিকত জানতে কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে দু’দিনের বৈঠক করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিটি বিধানসভা আসন ধরে ধরে সেখানে পর্যালোচনা হয়েছে বলে খবর।
বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ওই বৈঠকে ২৯৪টি বিধানসভা আসনের কোথায় দল কী অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ভোটের কৌশল নিয়েও কথা হয়েছে। বৈঠকে দিলীপবাবু ছাড়াও ছিলেন রাজ্য দলের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, সহ–সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিশোর বর্মন, দলের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়, সর্বভারতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ, রাজ্য দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং সহ–পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন।
কলকাতায় শিবপ্রকাশের বাড়িতে আর একটি বৈঠকেও বাবুলকে ডাকা হয়। সেখানে কৈলাস, মেনন এবং অমিতাভও ছিলেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। এই দুটি বৈঠকেই বারবার উঠে এসেছে অন্তর্দ্বন্দ্বের কথা। তাই সংগঠন নানা জায়গায় এখনও দুর্বল অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো বিরক্ত বঙ্গ–বিজেপি’র নেতৃত্ব।
বিজেপি’র হেস্টিংসের কার্যালয়ে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দলের সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, জিতেন্দ্রর কোন কোন এলাকায় প্রভাব আছে, তা সেখানে বিজেপি নেতাদের সামনে ব্যাখ্যা করেন শুভেন্দু। সব মিলিয়ে সাংগঠনিক দিকগুলি খতিয়ে দেখা হয়।
আরও জানা গিয়েছে, ২৯৪টি আসনে গেরুয়া ঝড় ওঠার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি। যে রিপোর্ট পেয়ে খানিকটা ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই রিপোর্ট যদি অমিত শাহের হাতে পৌঁছয় তাহলে ২০০ আসন জিতে ক্ষমতা দখলের যে টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তা চুরমার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বেশ কয়েকটি আসনে গেরুয়া ঝড় উঠলেও সবকটিতে হচ্ছে না। আর সেই অঙ্কটা কত তা কেউ জানাতে চাননি।