এবার নয়াদিল্লির বুকে বাংলার শাসক–বিরোধীকে দেখা যেতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। আর তা আদায়ের দাবিতে ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর নয়াদিল্লির রাজপথে ধামাকা তুলতে আজ, রবিবারই সবাই পৌঁছে যাবেন। ৫০টির বেশি বাসে পৌঁছবেন নেতারা এবং বঞ্চিত মানুষজন। আর সন্ধ্যায় পৌঁছবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। এবার তারই পাল্টা কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর, বাংলার চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী–সহ সব সাংসদকে জরুরি তলব করা হয়েছে নয়াদিল্লিতে। রবিবার রাতের মধ্যেই তাঁদের পৌঁছতে বলা হয়েছে। তাই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শিলিগুড়ি থেকে রওনা দিচ্ছেন। এখানে বিজেপির কর্মসূচির কথাও জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ।
এদিকে রবিবার শিলিগুড়িতে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে নেমেছিল বিজেপি। সেখানে ছিলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আমাদের চার–পাঁচজন সাংসদকে নয়াদিল্লিতে ডাকা হয়েছে। আমরা তাই যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অথবা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। তাঁদের হাতে নানা তথ্য তুলে দেব। তার পর তৃণমূলকে ওখানেই রাজনৈতিকভাবে উলঙ্গ করব। বাংলায় তো সবাই জানে, তৃণমূল আসলে চোর। এবার দিল্লিতেও তাদের মুখোশ খুলে দেব।’
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের এই নয়াদিল্লির বুকে আন্দোলন বানচাল করতে নানা বাধা দেওয়া হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে ট্রেন না দেওয়া, বিমান বাতিল করে দেওয়া–সহ নানা বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তারপরও প্রায় ৭০টি বাসে করে নয়াদিল্লি পৌঁছনোর ব্যবস্থা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, রাতেই সব বাস পৌঁছে যাবে। আর সাংসদরা সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছবেন। রাতেই সৌগত রায়ের বাসভবনে বৈঠকে বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূলের দুই বড় নেতা–নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চার্টার্ড বিমান আছে। সরকারি টাকায় তার ভাড়া দেওয়া হয়। তাতে করেই তো সবাইকে নিয়ে যাওয়া যেত।’
আরও পড়ুন: স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুন খড়দায়, তারপরই আত্মঘাতী স্বামী, তদন্তে নামল পুলিশ
আর কী বলছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি? ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলার মানুষের গায়ে একটা আঁচড় লাগলে ইটের বদলে পাথরে জবাব দেওয়া হবে। এই শুনে বিজেপি রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, ‘আমরাও ওভাবেই জবাব দেব। ইটের বদলে পাথর দিয়ে। রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া বন্ধ করল কেন? তারা ঠিকমতো হিসেব দিচ্ছিল না বলে। আমরাও বলতে চাই, কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে রাজ্য সরকারও ঠিকমতো হিসেব দিচ্ছে না। তাই নয়াদিল্লিও টাকা বন্ধ করেছে। এবার সেখানে গিয়ে আরও তথ্য তুলে দেব। বাংলায় তো উলঙ্গ আছেই। এবার দিল্লিতে তৃণমূলকে রাজনৈতিকভাবে উলঙ্গ করা হবে।’