বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই সংগঠন মজবুত করার কথা দলের ভিতরে এবং বাইরে বলছেন বিজেপি নেতারা। কারণ বাংলা থেকে ৩৫টি আসন জিততে হবে। এবার কলকাতায় এসেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তিনি আজ, রবিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লি ফিরে যাবেন। তার আগে দলীয় নেতা–কর্মী এবং যে কজন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতেছেন তাঁদেরকে ভোকাল টনিক দিলেন এই শীর্ষ বিজেপি নেতা। সেটার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
এদিকে পুরুলিয়ার পাঁচজন বিজেপি বিধায়ক তাদের ক্ষোভ জানিয়ে চিঠি দিলেন জেপি নড্ডাকে। সেখানে জেলা সভাপতি বিবেক রাঙ্গাকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। সুতরাং বাংলায় এখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা দেখতে পেলেন জেপি নড্ডা। আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জয়ী প্রার্থী, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের নিয়ে হওয়া বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী দলীয় নেতৃত্বকে তোপ দেগে বলেন, ‘শুধুমাত্র মঞ্চে লম্বা–চওড়া ভাষণ দিলেই হবে না। জিততে হবে। চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম। জিতে আসার পর মঞ্চ ভাষণ দিতে হবে।’
ঠিক কী বলছেন নড্ডা? অন্যদিকে বাংলায় বিজেপি একদিন ক্ষমতায় আসবে বলে দাবি করেন তিনি। লড়াই–আন্দোলন জারি রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে মমতা এবং অভিষেককে আক্রমণ করেন তিনি। তাঁর ভোকাল টনিক, ‘বাংলায় একদিন আপনাদের আশীর্বাদে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত আমাদের আক্রমণ করবে তত আমরা বেড়ে উঠব। বাংলায় দুর্নীতি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। এখান থেকে বাংলাকে মুক্তি দিতে হবে। আমরা এখন এই রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও আমাদের আসন আগের থেকে বেড়েছে। অন্যান্য দলকে যতই তুলে আনার চেষ্টা করুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও লাভ হয়নি।’
আরও পড়ুন: দলের কোর কমিটির বৈঠক করলেন জেপি নড্ডা, কেন অনুপস্থিত থাকলেন শুভেন্দু?
আর কী বক্তব্য বিজেপি সভাপতির? এখন বিজেপির মূল লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তাই নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তারপরই দলীয় নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে জেপি নড্ডা বলেন, ‘এই রাজ্যে ২০১৬ সালে আমাদের মাত্র তিনজন বিধায়ক ছিল। ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছিল ৭৭। ভোট প্রাপ্তির হার ১৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। বিধানসভায় তা বেড়ে হয়েছিল ৩৮ শতাংশ। লোকসভায় রাজ্যবাসী আমাদের ১৮টি সাংসদ উপহার দিয়েছে। ২০২৪ সালের লেকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫টির বেশি আসন বিজেপি জিতবে।’ যদিও এখন বিজেপির ৭৭জন বিধায়ক নেই। সেটা ৭০–এর নীচে নেমে গিয়েছে। কারণ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।