বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Sukanta Majumder-CV Ananda Bose: সুকান্ত–আনন্দ একান্ত বৈঠক রাজভবনে, কেন রাজ্যপালের কাছে বিজেপি নেতা?‌

Sukanta Majumder-CV Ananda Bose: সুকান্ত–আনন্দ একান্ত বৈঠক রাজভবনে, কেন রাজ্যপালের কাছে বিজেপি নেতা?‌

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

রাজ্যপালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দুর্নীতি এবং হিংসার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। আর শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে রাজ্যপালের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। সংসদ চলার জন্য নয়াদিল্লিতে ছিলেন সুকান্ত। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দেন এবং সতর্ক করেন যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন ঘটনা না ঘটে।

সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিধানসভায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে বিক্ষোভ দেখিয়ে বিপাকে পড়েছেন বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। কারণ এই ঘটনায় পদ্ম নেতা তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ধমক খেতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। আর তারপরই শনিবার সকালে রাজভবনে হাজির বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী দু’‌ঘণ্টা একান্ত বৈঠক করেন সুকান্ত।

রাজভবনে গিয়ে কী করলেন সুকান্ত?‌ সূত্রের খবর, রাজ্যপালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে দুর্নীতি এবং হিংসার কথা তুলে ধরেন সুকান্ত মজুমদার। আর শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে রাজ্যপালের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন। সংসদ চলার জন্য নয়াদিল্লিতে ছিলেন সুকান্ত। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে ধমক দেন এবং সতর্ক করেন যাতে পরবর্তী ক্ষেত্রে এমন ঘটনা না ঘটে। দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করতেও তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ক্ষমা চাওয়ার পথটাও সেখান থেকেই বাতলে দেওয়া।

ঠিক কী বলছেন সুকান্ত?‌ রাজ্যপালকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে রাজভবনে গিয়েছিলেন বলেই দাবি বিজেপি রাজ্য সভাপতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যপালের জিরো টলারেন্স নীতি বলেই জানিয়েছেন তিনি। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, ‘‌সংবিধান সমস্ত কিছুর উপরে বলে আশ্বস্ত করেছেন রাজ্যপাল। পরিষ্কার বলেছেন, বাংলার বেশ কিছু জায়গায় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, আগের রাজ্যপাল লা গণেশনের সময় যে লোকাযুক্ত গঠিত হয়, তা সংবিধানের নিয়ম মেনে হয়নি। তা বাতিল করতে বিধানসভার আগামী অধিবেশনে অর্ডিন্যান্স আনার কথা বলেছেন রাজ্যপাল।’‌ এখন এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।

ঠিক কী বলছেন সুকান্ত–কুণাল?‌ রাজভবনের বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌বাংলার রাজনীতিকে রাজ্যপাল দুর্নীতি এবং হিংসামুক্ত করার পক্ষে। দুর্নীতিতে যুক্ত কেউ রেহাই পাবেন না বলে জানিয়েছেন। আইনি পথে সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’‌ যদিও সুকান্তর এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌আসলে আমাদের কাছে খবর আছে, রাজ্যপালের কাছে ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধানসভায় অসভ্যতা করা হয়েছে— রাজ্যপালকে লক্ষ্য করে হায় হায়, গো–ব্যাক স্লোগান উঠেছে তাতে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স বলছেন তো! সিবিআইয়ের এফআইআর–এ নাম থাকা, ঘোষিত তোলাবাজ শুভেন্দুর নেতৃত্বে যে অসভ্যতা হয়েছে তাতেই মর্মাহত রাজ্যপাল। তাই ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। তাই শুভেন্দুকে নিয়ে যাননি।’‌

বন্ধ করুন