করোনা রোগীর দেহ হিসেবে দাহ করে দেওয়া হল কিডনির সমস্যায় মৃত বৃদ্ধার দেহ। নিজেদের গাফিলতি স্বীকার করে নিয়েছেন শিয়ালদার বি আর সিং রেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ৪ চিকিৎসকের একটি কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুরো ব্যাপারটি কলকাতা পুলিশ ও পুরসভার নজরেও আনা হয়েছে।
কিন্তু মৃতদেহ বদলের ঘটনা ঘটল কী করে? দীর্ঘদিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগে মৃত হাওড়ার বাসিন্দা কল্পনা ভকতের (৬৭) পরিবার জানিয়েছে, তাঁকে ১ অগস্ট শিয়ালদার ওই রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় কল্পনাদেবীকে রাখা হয় আইসোলেশন ওয়ার্ডে। ৩ অগস্ট দুপুরে বৃদ্ধার লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। যদিও সেদিন রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
হাসপাতাল জানায়, করোনা রিপোর্ট না এলে দেহ ছাড়া যাবে না। সেই রিপোর্ট আসে শুক্রবার সকালে। তা নেগেটিভ হওয়ায় দেহ সৎকারের সমস্ত আয়োজন সেরে কল্পনাদেবীর দেহ আনতে হাসপাতালে পৌঁছে যান তাঁর পরিজনেরা। কিন্তু হাসপাতালের মর্গে দেহ আনতে গিয়ে হোঁচট খান তাঁরা। দেখা যায়, যে দেহটি দেওয়া হচ্ছে সেটি কল্পনাদেবীর নয়। খোঁজ করলে হাসপাতাল জানায়, দেহটি এক করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার। তাঁর বদলে দাহ করে দেওয়া হয়েছে কল্পনাদেবীর দেহ।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দুলালচন্দ্র ভুঁইয়ার সাফাই, ‘৩ অগস্ট দু’জন বৃদ্ধাই মারা যান। আমাদের ভুলে করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধার পরিবারকে কল্পনাদেবীর দেহ দেখানো হয়। কিন্তু তাঁরা সেটি তাঁদের পরিচিত বৃদ্ধার দেহ হিসেবেই শনাক্ত করেছেন। তার প্রমাণও আমাদের কাছে আছে।’ কিন্তু দেহ বদল কী করে হল তা জানতে দ্রুত তদন্ত শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।