সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোচ্ছেন বনি সেনগুপ্ত।
দিন কয়েক আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর। ধৃত হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের থেকে গাড়ি কেনার জন্য ৪০ লাখ টাকা নিয়েছিলেন অভিনেতা বনি। এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অভিনেতাকে তলব করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে আধিকারিকদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন বনি। ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, 'টাকা তো আমার। ফেরত দেব কেন?' তবে জানা গিয়েছে, কুন্তলের থেকে টাকা ফের দেওয়ার বিষয়ে ইডিকে 'কথা দিয়েছিলেন' বনি। সেই 'কথা রেখে' কুন্তলের থেকে নেওয়া ৪০ লাখ টাকা ফেরালেন বনি সেনগুপ্ত। (আরও পড়ুন: ডিএ-র দাবি জানানো সরকারি কর্মীদের 'লোভী' আখ্যা, বিস্ফোরক তৃণমূল রাজ্য সহসভাপতি)
জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যার পর ইডির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করেন টলি অভিনেতা। উল্লেখ্য, জেরায় কুন্তল ইডিকে জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতির ৪০ লাখ টাকা তিনি অভিনেতা বনিকে দিয়েছিলেন। এর পরই সিজিও কমপ্লেক্সে দুই দফায় জেরা করা হয়েছিল বনিকে। সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল বনির বিদেশযাত্রা অর্থের উৎস নিয়েও। এদিকে বনি ইডির কাছে স্বীকার করে নেন, কুন্তলের দেওয়া ৪০ লক্ষ টাকায় তিনি গাড়ি কিনেছিলেন। বনি দাবি করেছিলেন, ২০১৭ সালে কুন্তলের দেওয়া সেই টাকা তিনি সরাসরি নেননি। গাড়ির শোরুমে সেই টাকা পাঠানো হয়েছিল। বনির দাবি ছিল, গাড়ি কেনার টাকা নেওয়ার বদলে পরবর্তীতে বিনা পারিশ্রমিকে কুন্তলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দুধের দাম বাড়ল বাংলায়, দোকানে যাওয়ার আগে দেখুন নয়া রেট
ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথি থেকেই বনির সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি উঠে এসেছিল। পরে বনি কুন্তলের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে নেন। ইডির সন্দেহ ছিল, বনির মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পাচার হয়ে থাকতে পারে। এদিকে জেরার মুখে নাকি বনি কেঁদে ফেলেছিলেন। ৪০ লাখ টাকা কীভাবে ফেরত দেবেন, তা নাকি তিনি ভেবে উঠতে পারছিলেন না। তবে বৃহস্পতিবারই সেই টাকা ফেরত দিলেন বনি।