বেশি রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় এক শেয়ার ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু প্রকাশ্যে এসেছে। পানশালা থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার। পরিবারের দাবি, কুমোরটুলির বাসিন্দা প্রদীপ সাউ (৫৬) বুধবার সন্ধ্যেবেলা দুই বন্ধুকে নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার পানশালায় গিয়েছিলেন। রাতে তাঁর মৃত্যুর মেলে। তাঁর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তদন্তে হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে হেয়ার স্ট্রিটে? স্থানীয় সূত্রে খবর, হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকায় শেয়ার ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। প্রদীপ সাউ এবং তাঁর স্ত্রী একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। স্ত্রীর অভিযোগ, এই সব সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হতো। ২০২১ থেকে আয়কর দফতর থেকে চিঠি আসা শুরু হয়। তারপর থেকেই ব্যবসার অংশীদারদের সঙ্গে গোলমাল চলছিল। মৃত্যুর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, শেয়ার ব্যবসায়ী প্রদীপবাবুর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর ব্যবসায়ে অংশীদারদের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে সেখান থেকেই এই রহস্যমৃত্যু কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পানশালায় কারা নিয়ে গিয়েছিল? সেখানে কারা ছিল? সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি নিয়মিত পানশালায় যেতেন না। এদিন কেন গেলেন? কোনও ব্যবসার ফাঁদ পেতে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, ইদানিং ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু ঝামেলাও ছিল। সেটা নিয়ে টেনশড়এ থাকতেন প্রদীপ সাউ। কয়েকদিন আগে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত পেয়েছিলেন তিনি। তবে সে কথা থানাকে কেন জানাননি সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ঘটনার দিন সন্ধ্যেবেলায় দু’জনকে নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার একটি পানশালায় যান প্রদীপবাবু। এরপর থেকে আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে পরিবারের দাবি। রাতে তাঁর মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছয়।