আজ, বৃহস্পতিবার রাখিবন্ধন উৎসব। কিন্তু এখানেও যেন লেগেছে রাজনীতির উত্তাপ। কারণ এখানেও মোদী–মমতা টক্কর চলছে। বড়বাজারে রাখির বাজার জমজমাট। আর সেখানেই জোর লড়াই চলছে ঘাসফুল বনাম পদ্মফুলের মধ্যে। বড়বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, দিদি রাখি আর টিএমসি রাখির চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এখানে মোদী রাখিও ছিল। কিন্তু বেশি বিক্রি হয়নি। তাই আর মাল তুলিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া রাখি পাইকারিতে ১০০ পিস ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এই মমতা–মোদী রাখির পাশাপাশি বিকিয়েছে ডোরেমন, ছোটা ভিম, মটু পাতলু, স্পাইডার ম্যান রাখিও। তবে সেগুলি শিশুদের জন্য। নতুন প্রজন্মের ছেলে–মেয়েরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া রাখি বেশি বিক্রি হয়েছে। বিক্রি হয়েছে মোদী রাখিও। হাতিবাগান বাজারে একই ছবি দেখা গিয়েছে। তবে বড়বাজারে এই সমস্ত রাখির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ‘পুষ্পা’ রাখি। দক্ষিণী ছবিতে আল্লু আর্জুন হাতে যেরকম রাখি বেঁধে সেই জনপ্রিয় ডায়ালগ ‘ম্যায় ঝুঁকেগা নেহি...’ বলেছিলেন, হুবহু সেরকম রাখিই বিক্রি হচ্ছে এখানে। যার পাইকারি দাম ১০ টাকা। তরুণীদের মধ্যে এই রাখির চাহিদা দেখা গিয়েছে।
রাখির ব্যবসা কেমন হচ্ছে? এই প্রশ্ন করতেই বড়বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর দাবি, আগের বছরের তুলনায় এই বছর বিক্রি বেশি হচ্ছে। দামি রাখির চাহিদাও বেড়েছে। ৩০০ টাকা দামের রাখিও ভাল পরিমাণে বিক্রি হয়েছে। হাতিবাগান, লেক মার্কেটে লাইট জ্বলা রাখি দেখা গেল। যার দামও ১০০ টাকার উপরে।
আর কী জানা যাচ্ছে? উত্তরে রাখির ব্যবসা ভাল হলেও দক্ষিণে অন্যরকম ছবি দেখা গিয়েছে। লেক মার্কেটে কয়েকজন ক্রেতাকে বলতে শোনা গেল, এবার রাখির দাম বেড়েছে। নতুনত্ব হল, এখানে আবার মহিলাদের জন্যও রাখি রয়েছে। চুড়ির মতো দেখতে এই রাখির দাম ৮০ টাকা। এবার রাখির দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিক্রি তেমন হচ্ছে না। যেটুকু বিক্রি হয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া রাখি। আর বিক্রি হয়েছে নতুনত্বে তৈরি হওয়া রাখি।