মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অপসারণ নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। উপাচার্যকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজ্ঞপ্তি খারিজের পাশাপাশি আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে উপাচার্য সৈকত মিত্রকে পুনরায় কাজে বহাল করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। আদালত সূত্রের খবর, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য।
সৈকত মিত্র মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে গত চার বছর ধরে পদে রয়েছেন। গত বছর তাঁর পদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর ২৯ জুলাই তাঁকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। মেয়াদ শেষ না হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তাঁকে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপাচার্য সৈকত মিত্র। তাঁর বক্তব্য, ২০১৭ সালে তাঁকে চার বছরের জন্য উপাচার্য পদে নিয়োগ করা হয়। ২০২২ এর ২৯ জুলাই তাঁকে কীভাবে অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল। তাঁর যুক্তি, এখনও মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই তাঁকে অপসারণ করা যাবে না।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি অ্যাক্ট আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল মৌলানা আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। এই আইন অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মনে করলেও উপাচার্যকে করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীও অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই যুক্তিকে সম্মতি জানিয়ে অপসরণের কথা বলে। অন্যদিকে, সৈকত মিত্রের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই অপসারণ বেআইনি।