গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে সিউড়িতে সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিউড়ির সমবায় ব্যাঙ্কে পৌঁছন গরুপাচার কাণ্ডের প্রধান তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। সিবিআই সূত্রে খবর, ১৫০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আজ, শুক্রবার ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। এবার ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সুশান্তবাবু।
কী তথ্য পেয়েছে সিবিআই? সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই মোট ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে সিউড়ির ব্যাঙ্ক থেকে। এমনকী ৫০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে যাতে একজনেরই সই রয়েছে। ওই ৫০টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা রয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে যাবতীয় নথি। আর সঙ্গে ৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই অফিসাররা।
আর কী জানা যাচ্ছে? কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, এই বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। সিবিআই আগে গরু পাচার মামলায় ছদ্ম সংস্থার কথা চার্জশিটে লিখেছিল। এবার সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের এই অ্যাকাউন্টগুলিও গরু পাচারের টাকা লেনদেনে ব্যবহার করা হয়েছে বলে অফিসাররা মনে করছেন। তাই সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। কী ভাবে নথি যাচাই না করে ব্যাঙ্কে ১৫০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতে দিলেন তিনি? এই প্রশ্নই আজ করা হবে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে।
এত টাকা এল কোথা থেকে? সিবিআই অফিসাররা মনে করছেন, রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে এসব অ্যাকাউন্ট থেকে। ব্যাঙ্কের রেকর্ড রুম থেকে নথি উদ্ধার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা আগেই উঠে এসেছিল। সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই সংক্রান্ত কিছু রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, সিউড়ি সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ। এখন দেখার ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কোন চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।