স্কুলে গরমের ছুটি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর বাংলায় স্কুলে শিক্ষা কেমন চলছে তা জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে সাঁড়াশি চাপে পড়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমনকী বিষয়টি জানতে ১৭১টি প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে। এই কাজের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিরাপত্তা অডিট’।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কেমন পাঠ দেওয়া হচ্ছে থেকে নিরাপত্তা নিয়ে ১৭১টি প্রশ্ন পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে। তারপরই জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের কাছে বিষয়টি নিয়ে নির্দেশ পাঠিয়েছে শিক্ষা দফতর। আগামী ২১ মে’র মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তরগুলি জানতে চায় শিক্ষা দফতর।
কেন কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রশ্ন পাঠিয়েছে? সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অফ চিল্ড্রেন ইন স্কুলস। আর তার অধীনে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস। তারাই এই বিষয়টি শুরু করেছে গোটা দেশে। বাংলার শিক্ষা মিশনের আওতায় এই কর্মসূচি করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। স্কুলের যে প্রশাসন রয়েছে তারা পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য কী কী বন্দোবস্ত করেছে তা বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। ফলে ২ তারিখ থেকে যে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তা কার্যত শিকেয় উঠল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলছে শিক্ষা দফতর? এই বিষয়ে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতরের কাছে যেমন নির্দেশ এসেছিল কর্মসূচি তেমনভাবেই পালন করা হচ্ছে। এমনকী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সব প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই রাজ্যের স্কুলগুলি ১৭১টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দেবে। উল্লেখ্য, অসহ্য গরমের জেরে গত ২ মে থেকে রাজ্যের স্কুলগুলিতে গ্রীষ্মকালীন ছুটি পড়েছে। স্কুল বন্ধ থাকবে ১৫ জুন পর্যন্ত। কিন্তু এখন আবহাওয়ার পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ৪৫ দিন ছুটি থাকা নিয়ে গত সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।