সপ্তাহে দু’বার শুভেন্দু অধিকারীর দুয়ারে গিয়েছিলেন সিআইডি আধিকারিকরা। ভিডিওগ্রাফি থেকে স্কেচ করা হয়েছিল। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু তদন্তে তৎকালীন নিরাপত্তারক্ষীকে তলব করল সিআইডি। একইসঙ্গে কাঁথি হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসককেও তলব করেছে সিআইডি। সংগ্রহ করা হচ্ছে আগের হাসপাতালের রিপোর্টও। জেরা করা হবে যিনি শুভব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই নিরাপত্তারক্ষীকে।
শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। অ্যাম্বুল্যান্স আসতেও দেরি হয়েছিল। যিনি শুভব্রতকে নিয়ে গিয়েছিলেন হাসপাতালে, তিনি কী দেখেছিলেন? তা জানতে চান সিআইডি তদন্তকারীরা। যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সে কী অবস্থায় ছিল? যে চিকিৎসক তাঁকে দেখেছিলেন তাঁর কাছ থেকেও তথ্য জানতে চান তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, গত বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি শান্তিকুঞ্জে যান সিআইডি’র তদন্তকারীরা। বাড়ির বিপরীতে নিরাপত্তারক্ষীদের থাকার জায়গায় যান তাঁরা। সেখানে পৌঁছে মৃত্যুর দিন হাজির অন্যান্য নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তদন্তকারীরা। শুভেন্দুর বাড়িতেও যান তাঁরা। কথা বলেন দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। পরে শনিবারও তাঁরা হাজির হন। সেখানে ভিডিওগ্রাফি ও স্কেচ করা হয়। যদিও শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেছেন, তদন্তকারীরা তাঁর বদ্ধ বাবা–মায়ের খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শুভব্রত চক্রবর্তীর৷ সেই ঘটনায় জুন মাসে নতুন করে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এমনকী সেই অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরার নাম। যদিও রাখার বেরা এখন জেলে। শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রী সুপর্ণার বক্তব্য, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই নানা বিষয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। যেহেতু শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী মানুষ, তাই প্রথমে তিনি মুখ খুলতে পারেননি। কিন্তু এখন যেহেতু পরিস্থিতি বদলেছে, তাই তিনি সাহস করে অভিযোগ দায়ের করেছেন।