ষোল আনা মসজিদ থেকে গুরুদ্বার। কালীঘাটের টালিচালার বাসিন্দাকে জনসংযোগ করতে দেখা যাচ্ছে। প্রচারে সেই নীল পাড়ের সাদা শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চটি পরে মানুষের দরবারে ঘরের মেয়ে। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগকে মাথায় নিয়েই বুধবার তাঁকে দেখা গেল ভবানীপুরের গুরুদ্বারে। ধর্মীয় নিয়ম মেনে ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি। কথা বলেন সেখানকার মানুষদের সঙ্গে। কথা বলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গেও।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ মালা রায় ও ভবানীপুরের নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ অনেকেই। গাড়ি থেকে নেমে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে গুরুদ্বারে প্রবেশ করেন তিনি। গুরুদ্বারের ভিতরে শিখ ধর্মগুরুরা উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এখানে শিখ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং আশ্বাস দেন পাশে থাকার।
ভবানীপুর তাঁর হোম গ্রাউন্ড হলেও প্রচারে খামতি রাখতে চাইছেন না ঘরের মেয়ে। তাই তিনি আজ বলেন, ‘শুভকামনা জানাতে এসেছি। আবার পেতেও এসেছি। আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। গুরু নানকজির অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। পাঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার সম্পর্কে বহুদিনের। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে বাংলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। কবিগুরু যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন তা শুরুই করেছিলেন পাঞ্জাব দিয়ে। আন্দামানে গিয়ে দেখিছে, যত মানুষ দেশের জন্য বলিদান দিয়েছেন তাদের মধ্যে পাঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যাই বেশি।’
তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘গুরুদ্বারে গেলেই মন শান্ত হয়ে যায়।’ জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী অর্থাৎ রুজিরা নিয়মিত গুরুদ্বারে যান দুই সন্তানকে নিয়ে। রাজধানীতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে এখানে তিনি বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে মোবাইলে আমি ভাষণ দিয়েছি। কৃষক নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমার সমর্থন ছিল এবং আছে। আমি একটি টিমও পাঠিয়েছিলাম। আপনাদের যে সাহায্য লাগবে তা করব।’