নবান্নে আমফান প্রসঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণবঙ্গে যে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, সেটা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কী কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী জেনে নিন-
এতদিন আছি কলকাতায়, এই ধরনের দুর্যোগ, তাণ্ডব কখনো চোখে পড়েনি।
আয়লা যদি ১০ হয়, আজকেরটা ১১০।
পুরোটাই বাংলার ওপর দিয়ে গেছে।
এলাকার পর এলাকা ধ্বংস, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, বিস্তারিত খবর পেতে ৩-৪ দিন সময় লাগবে।
পাঁচ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছিল।
ভাবতে পারিনি এতটা হবে।
নবান্নের ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, পুরো বিল্ডিংটা কাঁপছে, আর্ধেক বিল্ডিং প্রায় ভেঙে গেছে এরকম অবস্থা।
যেদিক থেকে আসার কথা ছিল আসেনি।
দিঘায় যতটা প্রভাবিত হবে ভেবেছিল, হয়নি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা ধ্বংস হয়ে গেছে। বে অফ বেঙ্গলের যত নদী আছে, যত বাঁধ ছিল, টোটালটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। ব্রিজ, রাস্তা, ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যাটা বলা যাবে না। ১০-১২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। অনেকে আহত।
বিদুত্ নেই, জল নেই, এত বড় ধ্বংস, যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, কত যে বাড়ি ঘর ভেঙে গেছে, ধানের ক্ষেত নষ্ট।
স্তম্ভিত, খুব খারাপ লাগছে. মাস ছয় আগে মেরামত করে দিয়েছিলাম।
যেন স্বজন হারিয়েছি, চোখের সামনে যে ধ্বংস দেখেছি, সেই তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে গেলে, মানুষকে সাথে নিয়ে এগোতে হবে।
কেন্দ্রের কাছে আবেদন থাকবে রাজনৈতিক ভাবে দেখবেন না।
এক্ষুণি রিলিফ ক্যাম্প ছেড়ে যাবেন না।
তিন চার দিন লাগবে ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে জানতে।
ধ্বংসের স্তুপের মধ্যে দাঁড়িয়ে যারা, তাদের আগে দেখতে হবে।
১০-১২দিন সময় লাগবে পুরো পরিস্থিতিটা বুঝতে।
কানেকশন উড়ে গেছে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরে।
প্রাথমিক রিপোর্ট আগামিকাল পাওয়া যাবে
কষি, রাস্তা, বিদ্যুত্, জল, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট, ট্রাফিক সিগন্যাল- সব কিছুই নতুন করে করতে হবে
প্রার্থনা করব, ধৈর্য হারাবেন না, একসঙ্গে কাজ করব
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে আবেদন করব, আপনারা ত্রাণের কাজ শুরু করে দিন