করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। লাশের পাহাড় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। দিল্লিতে সৎকারের জন্য দেহ নিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আগামী আগস্ট মাসের ১৫ তারিখ দেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছরে পা দেবে। তার আগে হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড নেই। আর শশ্মানে সৎকারের জায়গা নেই। এমনকী খাস কলকাতায় ধরা পড়ল হাড়হিম করার মতো ঘটনা। হাসপাতালে উপচে পড়ছে মৃতদেহের ভিড়। মর্গে দেহ রাখার জায়গা নেই বলে খবর।
পরিস্থিতি এতটা জটিল যে, মৃতদেহ সৎকার শুধু ধাপার মাঠে করা যাবে না বলে মনে করছে কলকাতা পুরসভা। কারণ সব জায়গাতেই মৃতদেহের ভিড় বাড়ছে। সৎকারের কোনও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় নিমতলা শশ্মানেও করোনা আক্রান্তদের দেহ সৎকারের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলি অভিযোগ জানিয়ে আসছে যে, তাদের মর্গে আর দেহ রাখার জায়গা নেই। এরপর মৃত্যু হলে সেই দেহ ওয়ার্ডেই ফেলে রাখতে হবে। সরকারি হাসপাতালগুলিতেও একই অবস্থা। মর্গে চেম্বারের বাইরে দেহ ফেলে রাখতে হচ্ছে। শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্ট, আর জি কর হাসপাতালে জমে আছে ৩৫টি দেহ। শুক্রবার পর্যন্ত জমে ছিল অন্তত ২৫০ দেহ। কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তের মৃ্ত্যু হলে পূর্ণ মর্যাদায় দেহ সৎকার করার ব্যবস্থা করবে তারা। কিন্তু কোথায় সৎকার হবে? ভাবছে পুরসভারও। সৎকারের জায়গার অভাব তৈরি হয়েছে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, শহরে মাত্র ১০টি চুল্লিতে করোনা মৃতদেহ দাহ করা হয়। যার মধ্যে ধাপায় ৬টি, নিমতলায় ২টি, বিরজুনালায় ২টি। একটি চুল্লিতে দিনে ১৫টি করে দেহ দাহ করা হয়। একটি দেহ দাহ করতে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। সুতরাং একদিনে ১৫টির বেশি দেহ দাহ করা সম্ভব নয়। সবমিলিয়ে সৎকার করার বিষয়টি বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে।