করোনাভাইরাস সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারকে যাবতীয় তথ্য ও নমুনা পরীক্ষার স্টেটাস প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন আবেদনকারী ফুয়াদ হালিম।
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে উপসর্গ না থাকলেও লালারস পরীক্ষা : রাজ্য
গত ৬ এপ্রিল হাইকোর্টে করোনা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের করেছেন সিপিআইএম নেতা। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'আবেদনের মূল বিষয়টি হল যে, নমুনা পরীক্ষা, তথ্য প্রকাশ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) নির্দেশিকা মেনে চলছে না রাজ্য সরকার।'
আরও পড়ুন : Covid-19 Updates: 'কেউ অসুস্থ, কারোর উপসর্গ আছে', বেলগাছিয়া বস্তিতে শুরু তথ্য সংগ্রহের কাজ
করোনা পরিস্থিতিতে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হয়। রাজ্য বিজেপির সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি ও এক চিকিৎসক এই বিষয়ে হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণকে যে চিঠি লিখেছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদেরও হালিমের মামলায় যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : নিরাপত্তায় ফাঁকফোকর, Zoom app ব্যবহার করতে মানা করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক
বর্ষীয়ান সিপিআইএম নেতা জানান, রাজ্য সরকার আগে জানিয়ে ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল বানানো হবে। সেখানে তিন হাজারের বেশি শয্যা থাকবে। যা দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ করোনা হাসপাতাল হবে। কিন্তু সেই ঘোষণার পর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন : Fact Check: হেলিকপ্টার থেকে কি টাকা ফেলবে কেন্দ্র?
উলটে আপাতত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের কয়েকটি ওয়ার্ড বন্ধ রয়েছে। দু'দিন আগেই প্রসূতি বিভাগের এক মহিলার সন্তান প্রসবের পর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তারপর ওই বিভাগের সমস্ত রোগী-সহ কয়েকজন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : Lockdown 2.0: যে তেরো কাজ করতে পারবেন না তেসরা মে পর্যন্ত..
হালিম বলেন, 'মানুষের (নমুনা) পরীক্ষার স্টেটাস, করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষাবরণী বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দেওয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে চেয়েছে আদালত।' শুক্রবার আবার মামলাটি শুনবে প্রধান বিচারপতি ও বিচারপতি অরিজিৎ ব্যানার্জির বেঞ্চ।
আরও পড়ুন : Railway Recruitment 2020: রেলে চলছে নিয়োগ, সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশে বেতন, দেখে নিন আবেদনের প্রক্রিয়া
বিষয়টি নিয়ে সরাসরি রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে বৃহস্পতিবার নবান্নে করোনা সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের জবাবে মুখ্যসচিব বলেন, 'আমরা সব মৃত্যু তালিকাভুক্ত করি। তারপর চিকিৎসকদের অডিট কমিটির কাছে পাঠানো হয়। আমরা জানি না, অডিট কমিটি এখনও পর্যন্ত কতগুলি মৃ্ত্যুর ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখেছে ও কতগুলি মৃত্যুর ঘটনা করোনার জন্য নয় বলে চিহ্নিত করেছে।'
আরও পড়ুন : আচমকা লাঠি নিয়ে তেড়ে এল ওরা- মোরাদাবাদে জনতার হাতে প্রহৃত ডাক্তারের বয়ান
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায় জানান, হু ও আইসিএমআরের নির্দেশিকা মেনেই মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে অডিট কমিটি। তিনি বলেন, 'হু-র CID-১০ (ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল ক্লাসিফিকেশন অফ ডিজিজ অ্যান্ড রিলেটেড হেলথ প্রবলমে) নির্ধারিত (পদ্ধতিতে) মৃত্যুর তাৎক্ষণিক ও পূরবর্তী কারণ পর্যালোচনা করছে কমিটি।'
আরও পড়ুন : লকডাউন ভাঙায় একদিনে কলকাতায় গ্রেফতার ৯০০