৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল যে দল। বাম জমানায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত যে দলের সাংগঠনিক বাঁধুনি ছিল প্রশ্নাতীত। গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে সিপিএমের নানা গণসংগঠন। কার্যত ভোট মেশিনারির অন্যতম মাধ্যমও ছিল এই গণসংগঠন। কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোটে বামেদের শোচনীয় পরিণতির পর সেই গণসংগঠনের কার্যকারিতা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক সবে শেষ হয়েছে। সেই মিটিংয়ের পর্যালোচনা রিপোর্টেও গণসংগঠনের ভূমিকাকে ঘিরে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পর্যালোচনা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ছাত্র যুবরা এই নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সাথে সাথে ছাত্র যুব ফ্রন্টের তরুণ কর্মীদের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। নতুন আঙ্গিকে সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল গণফ্রন্টের সদস্য সংখ্যার প্রতিফলন ভোটের ফলাফলে লক্ষিত হল না।’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে খাতায় কলমে গণসংগঠনের কর্মীদের অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে তাঁদের ভোট গেল কোথায়?
বিগতদিনে সিপিএমের একটা বড় ভিত্তি ছিল কৃষক ও শ্রমিক ফ্রন্ট। কিন্তু ভোটের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে শ্রমিক মহল্লায় একেবারে দাগ কাটতে পারেননি বাম প্রার্থীরা। হিন্দিভাষী এলাকায় শ্রমিকদের বড় অংশের ভোট গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। বাকি সংখ্য়ালঘুরা সমর্থন করেছে তৃণমূলকে। তবে বামেদের ভোট গেল কোথায়? তবে দল সূত্রে খবর, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি অতীতের একাধিক নজিরকে সামনে এনে জানিয়েছেন নতুনদের উপর ভরসা রাখতেই হবে
৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল যে দল। বাম জমানায় কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ পর্যন্ত যে দলের সাংগঠনিক বাঁধুনি ছিল প্রশ্নাতীত। গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে সিপিএমের নানা গণসংগঠন। কার্যত ভোট মেশিনারির অন্যতম মাধ্যমও ছিল এই গণসংগঠন। কিন্তু এবারের বিধানসভা ভোটে বামেদের শোচনীয় পরিণতির পর সেই গণসংগঠনের কার্যকারিতা নিয়েই এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক সবে শেষ হয়েছে। সেই মিটিংয়ের পর্যালোচনা রিপোর্টেও গণসংগঠনের ভূমিকাকে ঘিরে কার্যত উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পর্যালোচনা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ছাত্র যুবরা এই নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের সাথে সাথে ছাত্র যুব ফ্রন্টের তরুণ কর্মীদের ভূমিকা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। নতুন আঙ্গিকে সাংস্কৃতিক মাধ্যমকে ব্যবহার করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল গণফ্রন্টের সদস্য সংখ্যার প্রতিফলন ভোটের ফলাফলে লক্ষিত হল না।’ এখানেই প্রশ্ন উঠছে খাতায় কলমে গণসংগঠনের কর্মীদের অস্তিত্ব থাকলেও বাস্তবে তাঁদের ভোট গেল কোথায়?
বিগতদিনে সিপিএমের একটা বড় ভিত্তি ছিল কৃষক ও শ্রমিক ফ্রন্ট। কিন্তু ভোটের ফলাফলের নিরিখে দেখা যাচ্ছে শ্রমিক মহল্লায় একেবারে দাগ কাটতে পারেননি বাম প্রার্থীরা। হিন্দিভাষী এলাকায় শ্রমিকদের বড় অংশের ভোট গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। বাকি সংখ্য়ালঘুরা সমর্থন করেছে তৃণমূলকে। তবে বামেদের ভোট গেল কোথায়? তবে দল সূত্রে খবর, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি অতীতের একাধিক নজিরকে সামনে এনে জানিয়েছেন নতুনদের উপর ভরসা রাখতেই হবে
|#+|