প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণকে সাম্প্রদায়িক বলে কটাক্ষ করায় মন্ত্রী সুূব্রত মুখোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'আসলে ওনাদের মাথার ভিতরে বিজেপি আর আরএসএস এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে ওটাই বারবার মাথায় আসে।'
রাজ্য বিজেেপি সভাপতির কথায়, 'সুব্রতবাবুর বয়স হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। সব কথা ভুলে যান। কয়েকদিন আগে মমতা ব্যানার্জি ঘণ্টা বাজিয়ে ক্যা ক্যা করেছিলেন। সেটা কি উনি ভুলে গিয়েছেন? মমতা ব্যানার্জি ঘণ্টা নিয়ে এসেছিলেন আর সিপিএমের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন, সেটা কি হিন্দুত্বের ঘণ্টা ছিল? আসলে ওনাদের মাথার ভিতরে বিজেপি আর আরএসএস এমন ভাবে ঢুকে গেছে যে ওটাই বারবার মাথায় আসে।'
তৃণমূলই বিভাজনের রাজনীতি করে বলে অভিযোগ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আসল কথাটা উনি বলে দিলেন। হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সবাইকে ডাকতে হবে। এই যে বিভেদের রাজনীতি ওনাদের। সব জায়গায় আলাদা করে দেখেন। সব জায়গায় রাজনীতি দেখেন, বিজেপি ওটা দেখে না।'
দিলীপের দাবি, 'মোদীজি বলেছেন, সব কা সাথ সবকা বিকাশ। আর মোদীজিকে সারা দেশের লোক বিশ্বাস করেন। মোদীজি যখন বলেছেন সারা দেশের লোক এই আহ্বানে সাড়া দেবেন। কিছু অবিশ্বাসী। যারা নিজেদের বিশ্বাস করেন না। তারাই এসব বলেন।'
সুব্রতকে দিলীপের কটাক্ষ, 'যারা একটা ঝড় সামলাতে পারে না। কয়েক মাস আগে সুন্দরবনের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেল। চাল, ডাল, নুন, তেল কিছুই পৌঁছতে পারেনি ওনার সরকার। সেই সরকারের ওপর কে বিশ্বাস করবে? সেই সরকারের মন্ত্রী উনি। তার যোগ্যতা, ক্ষমতা বোঝা হয়ে গিয়েছে। এদের হাতে যদি ছেড়ে দেওয়া যায়, পাবলিককে তাহলে ভগবান ভরসায় বেঁচে থাকতে হবে।'
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণকে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'একটা ঘণ্টা দিয়ে করোনাকে তাড়ানো যাবে একথা যদি প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে কী করে আমরা সহমত হবো? এটা কতটা আরএসএস-এর কর্মসূচির মতো। করোনার মতো অসুখের মোকাবিলা করার জন্য কোথায় সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে বলবেন, কোথায় রাজ্যগুলোকে কী সাহায্য করবেন তা বলবেন, তা না করে উনি বললেন আমি ফাইনান্স মিনিস্টারকে বলে দিয়েছি উনি সাহায্য করবেন। কী সাহায্য করবেন তা বললেন না। বললেন, বাড়িতে থাকতে। সে তো বাড়ির লোক সব সময় বলছে।'