চার দিন ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর পর মদন মিত্রের দেহে ছোট্ট একটি টিউমারের সন্ধান পেলেন চিকিৎসকরা। মদনবাবুর ভোকাল কর্ডে এই টিউমারের সন্ধান পেয়েছেন চিকিৎসকরা। টিউমারটি কতটা ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে তা জানতে পরবর্তী পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছেন চিকিৎসকরা।
গত সোমবার রাতে আদালতের নির্দেশে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন মদন মিত্র। মঙ্গলবার ভোর রাতে তাঁকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, গুরুতর অসুস্থ তিনি। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের গুরুতর ঘাটতি রয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। এমনকী মুখে মাস্ক পরে হাসপাতালে বেডে শুয়ে কাতর মদনবাবুর ছবিও দেখা যায় টিভির পর্দায়। তবে শুক্রবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের গোপন ক্যামেরায় SSKM-এর করিডরে মদনবাবুকে গট গট করে হাঁটতে দেখা গিয়েছে। তখন তাঁর অসুস্থতার কোনও লক্ষণ ছিল না।
শনিবার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মদনবাবুর ভোকাল কর্ডে একটি টিউমার ধরা পড়েছে। সম্প্রতি কথা বলতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। এব্যাপারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে টিউমারের অবস্থান জানা যায়। টিউমারটি কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তা জানতে আরও পরীক্ষা করা হবে। তার পর তা নিরাময়ে শুরু হবে চিকিৎসকা।
গতবার নারদকাণ্ডে গ্রেফতারির পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মদনবাবু। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কামারহাটি কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতলেও ভোটগ্রহণ শেষ হতেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাঁর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের ফলে মদনবাবুর ফুসফুসে ক্ষত তৈরি হয়েছে।