এমনটা হবে সেই ইঙ্গিত আগে থেকেই ছিল, সেই জল্পনাকে সত্যি করে রাজ্যের শাসকদলের শিবিরে নাম লেখালেন প্রাক্তন সিপিএম নেতা ডাঃ রেজাউল করিম। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের (ডব্লিউবিডিএফ) অন্যতম সংগঠক রেজাউল করিম গত লোকসভা ভোটে বীরভূমে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। একইসঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিলেন বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইনুল হক। তিনি ২০১৯ সালের মার্চে সিপিএম থেকে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন তাঁরা।
বরাবরই শাসকদল বিরোধী চিকিৎসক সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের (ডব্লিউবিডিএফ) নেতা রেজাউল করিমের হাত ধরেই এদিন তৃণমূলে এলেন ওই সংগঠনের সম্পাদক ডাঃ কৌশিক চাকী। রেজাউল করিমের তৃণমূলে যোগদানটা মেনে নেওয়া গেলেও কৌশিক চাকীর এই পদক্ষেপে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই অবাক। একইসঙ্গে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন কাউন্সিলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক সুন্দর পাসোয়ানও।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে ওই নেতারা জানান, কেন্দ্রের ভেদাভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তাঁরা কাজ করতে চান। মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি–র আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বাংলায় যে জনমত তৈরি হচ্ছে এদিনের দলবদল সেটারই এক উদাহরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে ভবিষ্যতেও বিভিন্ন জগতের প্রখ্যাত ব্যক্তিরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে জননেত্রীর হাত শক্ত করবেন।
যদিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরামের প্রাণপুরুষ ডাঃ রেজাউল করিম ও ডাঃ কৌশিক চাকীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। একইসঙ্গে সামনে উঠে এসেছে একটি ঘটনার কথা। ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন ডাঃ অরুণাচল দত্ত চৌধুরী। এর জন্য তাঁকে সাসপেন্ডও করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য সরকারের বিরোধীতা করে পথে নেমেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম। এবার সেই সংগঠনেরই প্রধান দুই মাথা শাসকদলের শিবিরে চলে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে চিকিৎসক মহলেও।