আবার শুরু হয়েছে রাজ্যে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা মানুষের দুয়ারে পর্যন্ত পৌঁছে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেখানে অভিনব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এখন থেকে শুধু আবেদনপত্র জমা নেওয়ার পাশাপাশি দেখে নেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাচ্চাদের পুষ্টির ঘাটতি আছে কি না। করোনাভাইরাসের জেরে প্রায় দু’বছর বন্ধ ছিল খুদেদের স্কুল। আজ থেকে তা খুলে গিয়েছে। তাই এই বাড়তি উদ্যোগ বলে খবর।
এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পে রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থা। মাপা হচ্ছে শিশুদের ‘বডি মাস ইন্ডেক্স’। এই পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয় শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় একটি শিশু ঠিকমতো পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে কি না। আর যদি কোনও শিশুর মধ্যে অপুষ্টি ধরা পড়ে তাহলে এখানেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
ইতিমধ্যেই ১,৩০০–র বেশি স্বাস্থ্যশিবির করা হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে। চক্ষু পরীক্ষা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন–সহ নানান পরীক্ষা করা হচ্ছে। কোভিড টিকাকরণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ক্যাম্পগুলিতে। তাতে শিশুদের জন্য বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে গতবারের মতো এবারও সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য।
নবান্ন সূত্রের খবর, প্রত্যেক জেলাতেই খোলামেলা পরিবেশে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করা হয়েছে। মেনে চলা হয়েছে কোভিড বিধি। শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষযে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কেউ কোনও প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে এলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, আপনার বাড়ির শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে না তো? তার স্বাস্থ্য কেমন আছে? এখানে নিয়ে এলে স্বাস্থ্য–পরীক্ষা করা হবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হবে। প্রথম দফায় আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ১–৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় দফায় আবেদন গ্রহণের কাজ।