ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব কাণ্ড সামনে আসার পর চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য উঠে এসেছে। এতদিন কলকাতা পুলিশই এই কাণ্ডের তদন্ত করছিল। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থা এমফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডিও কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে তথ্য জানতে চাইল।
গত সপ্তাহে দেবাঞ্জন কাণ্ডে মামলা রুজু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, কোথায় কোথায় তল্লাশি চালানো হয়েছে, কী কী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, দেবাঞ্জনের বাড়ি ছাড়াও আর কোথায় কোথায় তল্লাশি চালানো হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়। দেবাঞ্জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আগে তাঁর সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিয়ে রাথতে চাইছে ইডির অফিসাররা। তদন্তে নেমে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বিপুল পরিমাণে টাকা আসত দেবাঞ্জনের কাছে। কিন্তু এত টাকা কোথা থেকে আসত বা সেই টাকা কীভাবে ব্যবহার করা হত, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কোনও হাওয়ালা চক্র কাজ করত কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দেবাঞ্জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে ইডির আধিকারিকরা। তাই আগের থেকেই পুলিশের হাতে থাকা তথ্য দিয়েই প্রস্তুতি নিয়ে নিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।
এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে দেবাঞ্জন। ইতিমধ্যে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। গত সপ্তাহে পুলিশের জেরা মুখোমুখি হয় দেবাঞ্জন। সেখানে তাঁর কাছ থেকে জানার চেষ্টা করা হয়, কীভাবে সে কলকাতা পুরসভায় ঢোকার ও নিজের জাল বিস্তার করার সুযোগ পেয়েছিল. এক্ষেত্রে কে তাঁকে সাহায্য করেছিল, কলকাতা পুরনিগমের কর্মী বা যুগ্ম কমিশনার হিসেবে কোনও কার্ড ইস্যু করা হয়েছিল কিনা। এবার এই মামলায় ইডি'র সক্রিয়তা বাড়লে একাধিক বিষয়ে উঠে আসবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।