ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে কসবা থেকে গ্রেফতার হয়েছে ভুয়ো আইএএস অফিসার দেবাঞ্জন দেব। এই জাল কতদূর বিস্তৃত হয়েছে? কারা কারা যুক্ত? আর্থিক লেনদেন কীভাবে হত? এইসব প্রশ্ন নিয়ে এবার আসরে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা (ইডি)। এই ভুয়ো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কতগুলি এফআইআর হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন ইডি তদন্তকারী অফিসাররা বলে সূত্রের খবর। লালবাজার সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়ার পর এফআইআর–এর সব কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জন দেবের দুই সহযোগী কাঞ্চন এবং শরৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই কাঞ্চন অফিসের যাবতীয় জিনিসপত্রের দেখাশোনা করতেন। এমনকী দেবাঞ্জন যে ভুয়ো আইএএস তা জানতেন কাঞ্চন! আর তাই দেবাঞ্জনের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিত কাঞ্চন। এখন বলছেন দেবাঞ্জন তিনি প্রতারিত হয়েছেন।
দেবাঞ্জনের ভুয়ো ভ্যাকসিনের যাবতীয় তথ্য জানত কাঞ্চন। আর ধৃত শরৎ পাত্র একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তার সহযোগিতায় কসবা, নর্থ সিটি কলেজে ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনিই টিকা দিতেন। অ্যামিকাসের ইঞ্জেকশন, যা কোভিশিল্ড বলে চালানো হয়েছিল তা দিয়েছিলেন শরৎ পাত্র। এমন অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দেবাঞ্জনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মাসে টাকা দেওয়া হতো বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। তাই দেবাঞ্জন দেব–সহ তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে খুনের চেষ্টার মামলা। সুস্থ মানুষকে এই অ্যান্টি বায়োটিক দিলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের হয়েছে। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।