নারদকাণ্ডে নিজেকে বাঁচাতে শুভেন্দু অধিকারীর উক্তিকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের রোষে ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া পর্যন্ত দিতে অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা।
শুক্রবার বিধানসভা ভবনের সামনে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানে তাঁকে উদ্দেশ করে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। বলেন, জেলে যেতে ভয় পাই না। কিন্তু সম্মানহানি করবেন না।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় গাঁজা কেসে ফাঁসিয়েছিল অনুব্রত, দাবি ব্যবসায়ীর
সাংবাদিক বৈঠকের একেবারে শেষে ফিরহাদকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার একটা কেস হয়েছিল। আমি অ্যারেস্ট হয়েছিলাম। আমি হাসপাতালে থাকিনি, জেলে ছিলাম। আমাকে আদালত বলেছিল জেলে থাকতে আমি জেলে ছিলাম। কিন্তু সেই কেসের ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন’।
আর ফিরহাদের এই অন্তিম উক্তিতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষনেতারা। তৃণমূল সূত্রে খবর, যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করে এখন তৃণমূলের যাবতীয় আক্রমণ তার উক্তি কেন ঢাল হিসাবে ব্যবহার করলেন ফিরহাদ? এতে দলের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গৃহীত অবস্থান দুর্বল হয়েছে। এব্যাপারে ফিরহাদকে দল এখনো পর্যন্ত সরাসরি সতর্ক না করলেও বিষয়টি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক ভালো ভাবে নেননি তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে তৃণমূলের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনার মন্তব্য উনিই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। কী প্রেক্ষিতে উনি একথা বলেছেন সেটা ওনার কাছে জানতে চাওয়াই ভালো।’
বলে রাখি, নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে তখন তৃণমূলের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এব্যাপারে শুভেন্দু বলেছিলেন, নারদকাণ্ড কোনও অপরাধ নয়, এটা একটা ষড়যন্ত্র।