কিছুদিন আগেই তাঁকে নারদ মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছিল। কিন্তু আটকে রাখতে পারেনি। ভরা এজলাসে মুখ পুড়েছিল সিবিআইয়ের। কিন্তু তিনি থেমে যাননি। বরং ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে দাপটের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। করোনাভাইরাস রুখতে ভ্যাকসিন সর্বত্র পৌঁছে দিয়েছেন। তারই পুরষ্কার পেলেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কী পুরষ্কার পেলেন তিনি? বৃহস্পতিবার তিনি হিডকোর চেয়ারম্যান হলেন। আগে কখনও কোনও মন্ত্রীকে হিডকোর চেয়ারম্যান করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই প্রথম রীতি পরিবর্তন করলেন তিনি। তবে এটা ফিরহাদ হাকিমের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। একদা বামফ্রন্ট সরকারের সময় হিডকোর দায়িত্ব সামলাতেন গৌতম দেব। এবার সেই একই পথ ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। হিডকোর চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, সিপিআইএম নেতা গৌতম দেবের আমলে হিডকোর জমি দেওয়া নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ তুলেছিল তৎকালিন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর সেই সব জমি ফেরত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ঘোষণা করেছিলেন, হিডকোর চেয়ারম্যান হবেন সরকারি আধিকারিক। হিডকোর জমি বণ্টনের সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবে রাজ্য মন্ত্রিসভা। ১০ বছর পর দেবাশিস সেনের জায়গায় হিডকোর চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের আবাসন ও পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
সম্প্রতি নগরোন্নয়ন দফতর থেকে হিডকো–কে পৃথক করে আনা হয়েছে আবাসন দফতরের অধীনে। একমাস আগে মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। বৃহস্পতিবার আবাসন দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, হিডকোর চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে ফিরহাদ হাকিমকে। ব্যস, অক্লান্ত পরিশ্রম ও আনুগত্যের পুরষ্কার পেলেন তিনি।