বিজেপিতে কাজের সুযোগ কমে আসছিল। বাংলার হয়ে কাজ করার জন্য সামনে ‘বড় সুযোগ’ এসেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমনটাই জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সঙ্গে তিনি বলেন, ‘মমতাদিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত।’
মাসকয়েক আগে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার থেকেই বাবুলের 'গোঁসা' নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল। সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। পরে সাফাই দিলেও জানিয়ে দেন, রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাতের পর বাবুল জানিয়েছিলেন, তিনি রাজনীতি ছাড়ছেন। তবে অমিত শাহ এবং নড্ডাদের অনুরোধ আসানসোলের সাংসদ পদ ছাড়ছেন না। কিন্তু সেই রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণার পর মাসখানেক কাটতে না কাটতেই সিদ্ধান্ত 'পরিবর্তন' করেন বাবুল।
কেন সেই সিদ্ধান্ত 'পরিবর্তন' করেছেন, সেই ব্যাখ্যাও দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি দাবি করেন, রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণার পরই বহু মানুষের বার্তা পেয়েছেন। তাঁরা বাবুলকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আর্জি জানান। তারপরই সিদ্ধান্ত পালটেছেন বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুলের দাবি, রাজনীতি ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নাটক ছিল না। শেষ তিনদিনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁ সামনে যে সুযোগ এসেছে, সেটাই তিনি দু'হাত ভরে গ্রহণ করেছেন। বাবুলের কথায়, 'রাজনীতি ছাড়ার কথা মন থেকেই বলেছিলাম।' প্রত্যেকে বলেছিলেন যে আবেগের বশে রাজনীতি ছেড়ে ফেলেছেন। 'আমি অত্যন্ত গর্বিত। মমতাদিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করব।' সঙ্গে যোগ করেন, 'আমি জানি, আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু ট্রেন্ডিং হবে। আমার মনে যেটা ট্রেন্ড করছে, সেটা হল যে আমার সামনে সুযোগ এসেছে, তার জন্যই কাজ করব মন দিয়ে।'
তবে দলবদলের ফলে আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানাননি বাবুল। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে দু'একদিনের মধ্যে জানানো হবে। সঙ্গে তিনি জানান, আগামী সোমবার মমতার সঙ্গে দেখা করবেন।