যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যখন চরম বিব্রত তখন নতুন পদক্ষেপ করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তাঁকে পিস রুম খুলতে দেখা গিয়েছিল। তারপর শিক্ষায় দুর্নীতি ঠেকাতে এনেছিলেন আমনে–সামনে কর্মসূচি। এবার রাজভবনের বাসিন্দার নতুন ভাবনা ‘পায়ে–পায়ে সাতাত্তর’। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসকে মাথায় রেখেই এই ‘পায়ে–পায়ে সাতাত্তর’ কর্মসূচি বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিষয়টির ব্যাখ্যা করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
আবার এই কর্মসূচির প্রেক্ষাপট অনুযায়ী নামকরণ কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না। এখানে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলে জানা গিয়েছে। আজ, বুধবার থেকে এই লক্ষ্যে কাজ এগোবে রাজভবন বলে সূত্রের খবর। তবে রাজ্যপাল সাংবাদিক সম্মেলন করে এই খবর মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছেন। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ কোনও রাজ্যপাল এমন কাজ আগে করেননি। এটাই প্রথম।
ঠিক কী হবে এমন পদক্ষেপে? রাজভবন সূত্রে খবর, তফশিলি জাতি–উপজাতি থেকে শুরু করে সমাজে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির এমন ৭৭ জন মানুষকে আর্থিক সাহায্য করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাই এই কর্মসূচির নাম পায়ে–পায়ে সাতাত্তর বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে ক্রীড়া জগতের প্রতিভাবান ৭৭ জনকে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য। বাদ যাবেন না মেধাবী ও পারদর্শী ৭৭ পড়ুয়াও। তাছাড়াও ৭৭ জন উদ্যোগপতি মহিলা, অন্য রাজ্যে কাজ করা ৭৭ জন বাঙালি শ্রমিক, আদিবাসী অঞ্চলে বসবাসকারী ৭৭ জন প্রবীণ নাগরিক, উঠতি ৭৭ জন লেখক ও শিল্পী, ৭৭ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও শিক্ষক এবং ৭৭ জন মিডিয়ায় কর্মরত মানুষজনকে আর্থিক সাহায্য করবেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়, আরও ৬জন গ্রেফতার
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে সব ক্ষেত্রেই অঙ্কটা ৭৭ বলে কর্মসূচির নাম পায়ে–পায়ে সাতাত্তর বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে যাঁরা উঠতি সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক এবং পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের ৭৭ জন পড়ুয়াকে রাজভবনের পক্ষ থেকে এই আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে খবর। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘অন্ধকার থাকলেও আলো আছে। নিশ্চয়ই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই সে খবর পাবেন আপনারা। আমি ছাত্র–শিক্ষক সহ সবার সঙ্গে কথা বলেছি। সব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত করা হবে।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাণ্ড নিয়ে এই কথাই বলেছেন রাজ্যপাল।