বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে পুলিশি তল্লাশি নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। এ নিয়ে এবার সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিনা ওয়ারেন্টে কীভাবে বিধায়কের অফিসে পুলিশ তল্লাশি চালাতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর জানতে এবার রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তলব করলেন রাজ্যপাল। আগামী ২৩ মে অর্থাৎ সোমবার সকাল ১১ টায় মুখ্যসচিবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
শুভেন্দুর অফিসে পুলিশ তল্লাশি চালানোর সময় কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা জানতেন না এটা শুভেন্দুর অফিস। পুলিশের এই তল্লাশিকে সরাসরি রাজনৈতিক কার্যকলাপ বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। নিজের টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এটা বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন যে স্থানীয় পুলিশ শুভেন্দুর অফিস কোনটা তা জানে না। মনে হচ্ছে এটা রাজনৈতিক কার্যকলাপ। সূত্রের খবর, একটি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়ে তার স্ত্রী মহুয়া পালকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। তমলুক কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এসডিপিওর নেতৃত্বে পুলিশ প্রথমে মহুয়া পালের বাড়ি যায়। কিন্তু, সেখানে মহুয়া পাল না থাকায় পুলিশ তল্লাশি চালায় শুভেন্দু অধিকারীর অফিসে। সেই সময় কর্মীরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তারা জানতেন না এটা শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এই ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী বৃহস্পতিবার। তবে পুলিশের এই কার্যকলাপে রাজ্যপাল যে মোটেই সন্তুষ্ট নয় তা তিনি নিজের কথাতেই বুঝিয়ে দিয়েছেন।