বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Adenoviruses: অ্যাডিনোভাইরাস মারাত্মক আকার নিচ্ছে, সতর্ক করল সরকার, কী কী নিয়ম মানতেই হবে

Adenoviruses: অ্যাডিনোভাইরাস মারাত্মক আকার নিচ্ছে, সতর্ক করল সরকার, কী কী নিয়ম মানতেই হবে

প্রতীকী ছবি

Adenovirus Care: বিভিন্ন হাসপাতালের শিশুরোগ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা। সেখানে অ্যাডিনো ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অভিভাবকদের পাশাপাশি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। সাধারণত কোভিডের মতোই নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ভিতরে প্রবেশ করে।

কোভিড, হাম রুবেলার পর ভয়াবহ আকার ধারণ করছে অ্যাডিনো ভাইরাস। সাধারণত শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। যার ফলে ভিড় হাসপাতালগুলিতে। ইতিমধ্যেই সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ রুখতে তৎপর হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

এদিন বিভিন্ন হাসপাতালের শিশুরোগ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা। সেখানে অ্যাডিনো ভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অভিভাবকদের পাশাপাশি হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। সাধারণত কোভিডের মতোই নিঃশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ভিতরে প্রবেশ করে। তাই এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মাস্ক পরা এবং দূরত্ব বিধি মেনে চলা সহ একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।

এছাড়াও, শিশুদের অভিভাবকদের বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগী বাবা মায়ের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি অভিভাবকদের ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি বাস, ট্রেন সহ অন্যান্য পরিবহণে যেখানে ভিড় রয়েছে সেই সমস্ত জায়গায় শিশুদের মাস্ক পরাতে হবে বলে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। সাধারণত এই রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি, কাশি এবং মাথা ব্যথা প্রভৃতি। তবে এটি হলে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করলেই এই রোগ কমবে না, চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

(আরও পড়ুন: শহরে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ! কোন কোন বিষয় ভুললে চলবে না? নাহলেই বিপদ)

অন্যদিকে, এই ভাইরাসের মোকাবেলায় হাসপাতালগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্সিজেনের জোগানের উপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি, অসুস্থ শিশুদের রেফার করা, পাশাপাশি আক্রান্তদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের স্কুল নিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে অন্যান্য শিশুদের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা থেকেই যাচ্ছে। তাই এ বিষয়ে শিশু অসুস্থ হলে স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতরকে এখন এই বিষয়ে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। তবে সব মিলিয়ে এই রোগ নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর যে উদ্বিগ্ন তা নির্দেশেই বোঝা যাচ্ছে।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন