অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলা জুড়ে। ভাইরাসের প্রকোপ এতটাই যে শিশুরোগীদের বেডের আকাল দেখা দিয়েছে কলকাতার হাসপাতালগুলিতে। জেলার হাসপাতালগুলির অবস্থাও বেশ শোচনীয়। কেন এতটা গুরুতর হয়ে উঠেছে এই ভাইরাস? কোন কোন উপসর্গ দেখে সতর্ক হবেন? কীভাবেই বা সামাল দেবেন পরিস্থিতি? দেখে নেওয়া যাক রোগটির খুঁটিনাটি।
অ্যাডিনোভাইরাসের উপসর্গ কী?
- গলা ব্যথা, জ্বর থেকে সর্দি, কাশি অ্যাডিনোভাইরাসের প্রাথমিক লক্ষণ।
- এছাড়াও, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, নিউমোনিয়াও দেখা দিতে পারে।
- কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়রিয়া ও পেট জ্বালার মতো উপসর্গও দেখা দেয়।
- এর পাশাপাশি মাথা ব্যথা, বমির মতো গুরুতর লক্ষণও কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়।
কাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি?
হাসপাতালে শিশুরোগীদের সংখ্যা বাড়লেও অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। যে কোনও বয়সের মানুষই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন।
কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস?
- সংক্রমক ভাইরাসটি অন্যের হাঁচি, কাশি থেকেই ছড়ায়।
- আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি।
- বাতাসে হাঁচি কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসও সরাসরি আক্রমণ করেতে পারে ফুসফুসকে।
- এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে শিশুর ডায়াপার থেকেও ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে।
কীভাবে খেয়াল রাখবেন নিজের?
- চোখে মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
- যেকোনও সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিন। এতে ভাইরাসের থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা যাবে।
- অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে আসাযাবে না। আত্মীয় হলেও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
আক্রান্ত হলে কী করবেন?
- বাড়িতেই বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করুন।
- হাঁচি কাশির সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে যাতে রোগ না ছড়ায়।
- গুরুতর শারীরিক সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কেন অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্তের হার বাড়ছে?
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কোভিডের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে বেরোয়নি খুদেরা। তার ফলে স্বাভাবিক পরিবেশে মেলামেশাও কমে গিয়েছে অনেকটা। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারে তলানিতে। সেই সুযোগই নিচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup