কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির বিরোধিতা করলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। জামিন পেয়ে শনিবার সকালে ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। বেরোনের সময় তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, 'কৌস্তভের পাশে আছি। লড়াই চলবে।'
বৃহস্পতিবার আদালত ভাঙড়ের বিধায়ককে জামিনের নির্দেশ দিলেনও আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হাওয়ায় তিনি ছাড়া পাননি। শনিবার সকালে সেই আইনি কাজ সম্পন্ন হওয়ায় তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পান। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও ২১ আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদেরও এদিন ছাড়া হয়। সকাল ১১টা নাগাদ জেল থেকে মুক্তি পান তাঁরা।
যে দিন তাঁদের ছাড়া হল, ঘটনাক্রমে সেই দিনই জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে। তিনি জেল থেকে বেরোনোর সময় বলেন,'আমি জানি না কৌস্তভকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাঁর সঙ্গে যদি অন্যায় হতে থাকে তবে আমি তাঁর পাশে আছি। আমি কৌস্তভের জন্য গলা ফাটাব।'
ভাঙড়ের বিধায়ক আরও বলেন, 'কেউ যদি ভেবে থাকে যে আমি ভয় পেয়েছি তবে ভুল ভেবেছে। আমি মানুষের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলাম, আছি, থাকব।' তিনি আরও বলেন,'আমি যখন জেলে ছিলাম শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে চিত্র পরিচালক, আইনজীবী যাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন সবাইকে আমার ধন্যবাদ জানাই। ' তিনি জেলের মানোন্নয়ন নিয়েও দাবি জানিয়েছেন। (ছেলে তো সততার কাজ করেছে, ওর জন্য আমি গর্বিত, বললেন কৌস্তভ বাগচীর মা)
২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের মিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে দলের কর্মী-সমর্থকদের। সেই সময় নৌশাদ-সহ একাধিক নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁদের জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত।
প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পাবার সময় প্রচুর আইএসএফ কর্মী সমর্থক তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য় হাজির ছিলেন। তিনি বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে পুষ্পবৃষ্টি করতে থাকেন কর্মীরা। তার পর ভাঙড়ের বিধায়রকে একটি হুড খোলা গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়।