করোনা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই সক্রিয় তিনি। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ রোধে তিনি রাস্তায় নেমেছেন বারবার। কখনো চোখে-মুখে দেখায় যায়নি ক্লান্তির এতটুকু ছাপ। উলটে বিরোধীদের কটাক্ষ ফুৎকারে উড়িয়ে ফিরে গিয়েছেন মানুষের কাছে। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার নবান্নে বললেন, ক্লান্তি তাঁরও হয়। ঘুম তাঁরও পায়। তবে ঘুমানোর সময় পান না তিনি। সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, এসব কাকে বলব?
পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি মানুষের দায়িত্ব তাঁর ঘাড়ে। এমন বিপদের সময় তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ধীরে ধীরে সেই অনিয়মের জবাব দিতে শুরু করেছে তাঁর শরীর। বুধবার নবান্নে বসে সেকথাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মমতা বলেন, ‘সারাদিন বিপদে পড়া মানুষের পাশে থাকতে থাকতেই কেটে যায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার এই চলে। ঘুমাতে কোথায় পারি? আমি আপনাদের বলতে পারি না যে আমিও একটা হিউম্যান বিইং? আমার মাথায় যন্ত্রণা করছে কাল থেকে। আমি রাজীবকে বলছিলাম। আপনারা জানেন, গত সানডে, এই লোকটা কাজ করতে করতে বলছে, ম্যাডাম আমার ভীষণ পেটে যন্ত্রণা করছে। আমি বললাম, গো ইওর হাউজ। সবাই তো ওয়ার্ক অ্যাট হোম করছেন বাবা। আমাদের তো ফিল্ডে কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের ওভারটাইম করতে হচ্ছে। ডবল ডিউটি করতে হচ্ছে। তা আমরা বুঝি মানুষ নই?’
কাতর স্বরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমার তো কাল রাত থেকে মাথায় কী পেইন হচ্ছে, আমি তো কাউকে কিছু বলিনি। তাই নিয়েই করে যাচ্ছি। আপনি আমার মাথাটাকে রোজ খোঁচাবেন, গোঁতাবেন, আর আমি আমার মাথাটা এগিয়ে দেব বধ করার জন্য?’
বলে রাখি, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণে এদিন রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে এরা সরকারের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।