বড়দিন, নববর্ষে উৎসব পালনে ছিল না কোভিড বিধি মানার বালাই। আর এর জেরে যা হওয়ার, তাই হয়েছে। রাজ্যে করোনা রুখতে কড়া বিধিনিষেধ লাগুর ঘোষণা করেছে সরকার। আর এই অবস্থায় বিধিনিষেধের আওতায় পড়েছে লোকাল ট্রেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে একসঙ্গে সর্বাধিক ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন পরিষেবা অব্যাহত রাখতে পারবে রেল। পাশাপাশি সন্ধ্যা সাতটায় লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হবে। এরপরই অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে কি সময় সূচি বদল করবে রেল? সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে কি ট্রেন চলাচল বন্ধ হবে নাকি শেষ ট্রেন ছাড়বে সাতটার সময়? এই পরিস্থিতিতে রেলের তরফে বিভ্রান্তি দূর করে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
রেল জানিয়েছে, শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে সন্ধ্যা সাতটার পর আর কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে যদি হাওড়া থেকে বর্ধমানের শেষ লোকাল ট্রেন সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় হয়, তাহলে এই লাইনে সেটাই শেষ ট্রেন। বা শিয়ালদা থেকে বনগাঁ লাইনে শেষ ট্রেন ৬টা ৫৫ মিনিটে হয়, তাহলে সেটাই হবে সেই রুটের যাত্রীদের জন্য শেষ ট্রেন। প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে ট্রেন ছাড়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হবে।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার পরও শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। যদিও সাধারণ মানুষ এই ট্রেনে উঠতে পারবেন না। কেবল সরকারি কর্মচারী, রেল কর্মীরাই এই ট্রেনে উঠতে পারবেন। তাছাড়াও সরকার অনুমোদিত জরুরি ভিত্তিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা এই ট্রেনে উঠতে পারবেন। অবৈধ ভাবে কোনও যাত্রী স্পেশাল ট্রেনে উঠলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে। দিতে হতে পারে জরিমানাও। তবে গত লকডাউনেও এই নিয়মটি কার্যকর করেছিল রেল। সেক্ষেত্রে এবারও প্রশ্ন উঠেছে, যাদের ৭টার মধ্যে ছুটি হয় না, তারা স্টাফ স্পেশালে না উঠলে কীভাবে বাড়ি যাবেন? ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন যে চলছে, তা নিশ্চিত করবে কে?