বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর বাংলায় বিজেপির নীচুতলার সংগঠন একেবারে তলানিতে। এই অবস্থা দেখে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বারবার সংগঠন মজবুত করার বার্তা দেওয়া হলেও কোনও কাজ হয়নি। এই সংগঠনের হাল নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলে আবার গোহারা হতে হবে। তাই বঙ্গ–বিজেপির ত্রয়ী নেতৃত্বকে তলব করলেন নড্ডা। নয়াদিল্লিতে তিনি বৈঠকে ডেকেছেন তিন রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতাকে।
কবে, কাদের তলব করেছেন নড্ডা? সূত্রের খবর, সাংগঠনিক যে রিপোর্ট জেপি নড্ডার হাতে এসে পৌঁছেছে তাতে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তাই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে তাঁদের নিয়ে বৈঠক হবে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি–সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
কেন এই জরুরি তলব? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ বিজেপি নেতা জানান, এই বৈঠক ডাকা হয়েছে সাম্প্রতিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে। এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন বাংলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দু’জন নেতা মঙ্গল পাণ্ডে এবং সুনীল বনশল। তাঁরা একাধিক জেলায় গিয়ে কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এমনকী সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেছেন। তারপর দু’মাস আগে বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের হোমওয়ার্ক দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেসব কিছুই হয়নি। আর সেই কথা জেপি নড্ডাকে তাঁরা জানাতেই তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন। তারপরই তড়িঘড়ি তলব করেন তিন নেতাকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপির ওই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘জেলার বাস্তব চিত্র হাতে পেয়েছেন আমাদের সর্বভারতীয় সভাপতি। সেখানে রাজ্য বিজেপির নেতারা এতদিন ধরে যে দাবি করে আসছিল—নীচুতলার সংগঠন একেবারে মজবুত সেটা যে চূড়ান্ত মিথ্যে তা উল্লেখ করা হয়েছে পাণ্ডে–বনশলের রিপোর্টে। তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ নড্ডাজি। বুথ স্তরে দলের কোনও প্রভাবই নেই বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই ডাকা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকে।’