স্থানীয় ক্লাবের মিটিং-এ বচসা। বচসা থেকে হাতাহাতি। হাতাহাতির সময় তাঁকে মারধরের অভিযোগ করলেন কালীঘাটের কাকুর দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এ নিয়ে পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় একটি ক্লাবের মিটিং-এর সময় ক্লাবের এক সদস্যের দ্বারা আক্রান্ত হন অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বচসা থেকে হাতাহাতি হয়। সেই সময় তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয় বলেন অভিযোগ। বেহালা উত্তরসূরী ক্লাবের সাধারণ সভাতেই এই অশান্তি হয়।
অজয়কৃষ্ণের অভিযোগ, 'ক্লাবের সদস্য রাজু দাসের বিভিন্ন কুকীর্তি তিনি ক্লাবের সাধারণ সভায় তুলে ধরেন। তারপর ক্লাবে থেকে বেরোনোর রাজু তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারতে থাকে। মুখে ও পিঠে ঘুষি মারে।
(পড়তে পারেন । ‘শুধু পুলিশ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না’ সৌগতর মন্তব্যে বিতর্ক)
ক্লাবের এক সদস্য তাঁকে উদ্ধার করে বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সূত্রে খবর, অভিযুক্ত রাজু দাসকে ক্লাবের কাজে রেখেছিলেন তাঁর ভাই, নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।
কেন এই মারধরের ঘটনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পর্ণশ্রী থানার পুলিশ। অজয়কৃষ্ণ ক্লাবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, তাঁকে মারধর করা হল, অথচ তাঁকে ক্লাব থেকে বার করে দেওয়া হল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কালীঘাটের কাকু বর্তমানে জেলে। তাঁকে গ্রেফতারির ৫৯ দিনের মাথায় সুজয়কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে ইডি। ১২৬ পাতার চার্জশিটে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২০ কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ আনা হয়েছে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন কালীঘাটের কাকু। ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিশেষ PMLA আদালতে সুজয়কৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে ১২৬ পাতার চার্জশিট পেশ করে ইডি। সঙ্গে পেশ হয়েছে প্রায় ৭০০০ পাতার নথি। ট্রাঙ্কে করে কাগজ এনে আদালতে জমা দেন ইডির আধিকারিকরা।