যিনি বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার সামনে আলু বিক্রি করতিস রে আলু। হিসাবটা আমরা বুধে নেব।’ তিনিই রামনগরের সভার পর অনেক সংযত বক্তব্য করলেন। হ্যাঁ, এমন মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এখন তিনি পাল্টে নিলেন নিজের অবস্থান! প্রেক্ষাপট, শুভেন্দুর রামনগরের মেগা শো।
রামনগরের মেগা শো থেকে শুভেন্দু অধিকারি সাফ জানান, মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে তাড়াননি, আর তিনিও দল ছাড়েননি। শুভেন্দুর এই বার্তার পর থেকেই কার্যত তৃণমূলের অন্দরে খানিকটা স্বস্তির হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে এক সপ্তাহে নিজের অবস্থান থেকে কার্যত ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি। শুভেন্দুর প্রতিটা কথাকে স্বাগত জানাচ্ছি।’
এই পরিস্থিতিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিশির অধিকারী পিতৃস্থানীয়। তাঁকে শ্রদ্ধা করি। তাঁর পরিবারের প্রত্যেকের প্রতি ভালোবাসা আছে। শুভেন্দুর প্রতি আমার ভালোবাসা কেন থাকবে না? আমি ঢাক বাজাই না, আমি বুকও বাজাই না। তবে সিঙ্গুর নন্দীগ্রামে আমারও কিছু ভূমিকা রয়েছে। আজ শুভেন্দু যা বলেছেন, দলের জন্য ভালো।’
এখন জেনে নেওয়া দরকার ঠিক কী বলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি বলেছিলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে পুরসভার কাছে আলু বিক্রি করতিস রে। দাদার অনুগামীরা দাদার সঙ্গে চলে যাক। হিসেবটা আমরা বুঝে নেব। তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করলে ঘরে ঢুকতে দেব না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। চারটে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, চার খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস।’