রেললাইনের সঙ্গে সমান্তরালভাবে বসানো হচ্ছে অপটিকাল ফাইবার। এটা হল কবচ সিস্টেমের অংশ। এই কবচের মাধ্য়মেই দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচবে রেল। এমনকী কুয়াশায় যখন দৃশ্য়মানতা কমে যায় তখন যদি কোথাও কোনও ভুল হয়ে যায় তখনও বাঁচাবে এই সিস্টেম।
রেলপথে কবচ সিস্টেমকে কার্যকরী করতে বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাতেও চলছে এই কাজ। পূর্ব রেলের হাওড়া-দিল্লি রুটে এই কবচ সিস্টেমকে লাগু করার কাজ করা হচ্ছে। হাওড়া- আসানসোল রুটে এই কবচ সিস্টেম লাগু করার কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ১৫০ কিমি এলাকায় অপটিকাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজ হয়েছে। ওয়াড়িয়া পর্যন্ত এই কাজ চলছে।
পূর্ব রেলের মুখ্য় জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, পূর্ব রেলের হাওড়া- দিল্লি রুটে আসানসোল ডিভিশনের শেষ সীমানা ছোট আম্বানা পর্যন্ত রেললাইনে দেশি প্রযুক্তিতে তৈরি এটিপিএস-এর কাজ চলছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যো ছোট আম্বানা পর্যন্ত এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। হাওড়া থেকে ছোট আম্বানা পর্যন্ত ২৬০ কিমি দূরত্ব। তবে হাওড়া থেকে মানকর পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার কেবল বসানোর কাজ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে গত বছরের মার্চ মাস থেকে এই পর্যন্ত মোটামুটি পূর্ব রেলে ৪৬টি রেল ইঞ্জিনে এই সিস্টেম বসানো হয়েছে।
সম্প্রতি কবচ সিস্টেম নিয়ে রাজ্য়সভায় বিস্তারিত জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি রাজ্য়সভায় জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত ১৪৬৫ কিমি রুটে কবচ লাগু করা হয়েছে। ১৩৯টি লোকোমেটিভে এটা ব্যবহার করা হয়েছে। তার মধ্য়ে ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট রেকসও রয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ের কিছু অংশে এই কবচ সিস্টেম লাগু করা হয়েছে। বর্তমানে দিল্লি-মুম্বই ও দিল্লি- হাওড়া করিডরে কবচ সিস্টেম লাগু করার জন্য় টেন্ডার করা হয়েছে। প্রায় ৩০০০ কিমি এলাকায় এই কবচ সিস্টেম লাগু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। খবর সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে।
এমপি সুশীল কুমার মোদীর প্রশ্নের উত্তরে এই কবচ সিস্টেম নিয়ে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন, কবচ সংক্রান্ত যে কাজগুলি চলছে তার মধ্য়ে অন্য়তম হল ৩০৪০ কিমি জুড়ে অপটিকাল ফাইবার পাতা, ২৬৯টি টেলিকম টাওয়ার তৈরি করা। ১৮৬টি স্টেশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা, ১৭০টি লোকোতে ব্যবস্থা করা, লাইনের ধারে ৮২৭ কিমি রুটে এই সরঞ্জাম ব্যবহার করা হবে।
ওড়িশার রেল দুর্ঘটনার পরে এই কবচ সিস্টেম নিয়ে আরও বেশি আলোচনা হয়।