প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একসময়ের দোর্দন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের মহাসচিব পদেও ছিলেন তিনি। তিনিই এখন জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি। এতদিন যে পার্থকে ঘিরে থাকতেন অগণিত অনুগামী, তাঁদের অনেকেই আজ পাশে নেই। নিঃসঙ্গ অবস্থায় জেলে দিন কাটছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৪দিনের জন্য তাকে জেলে পাঠিয়েছে আদালত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে জেলের অন্দরে পার্থর প্রতিবেশী এখন কারা? কীভাবে দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?
এখন পার্থর প্রতিবেশী বলতে কেউ কুখ্যাত জঙ্গি, কেউ আবার চিটফাণ্ড মামলায় অভিযুক্ত। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী রয়েছেন পহেলা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে। তার ঠিক পাশের সেলেই আছেন আফতাব আনসারি। কলকাতায় আমেরিকান সেন্টারে হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। ২০০২ সালের ২২ জানুয়ারি আমেরিকান সেন্টারে হামলা, পুলিশ হত্যায় নাম জড়িয়েছিল আফতাবের। তিনিই এখন পার্থর পাশের সেলে। দুবাই থেকে তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে খাদিম কর্তা পার্থ রায়বর্মনকে অপহরণের ঘটনাতেও তার নাম জড়িয়েছিল।
পড়শি আরও আছে। তার মধ্যে অন্যতম সারদা কর্তা তথা চিটফাণ্ডকাণ্ডে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। চিটফাণ্ডের নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত তিনি। ছত্রধর মাহাতো এখন থাকেন পার্থর কাছাকাছি প্রেসিডেন্সি জেলে। একসময়ে পুলিশি সন্ত্রাসবিরোধী জনসাধারণের কমিটির নেতা ছিলেন তিনি। সিপিএম কর্মী খুনের মামলায় নাম রয়েছে তাঁর। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ২০২১ সালের ২৭ মার্চ এনআইএর হাতে পুরানো মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন ছত্রধর।
রোজভ্য়ালি কর্তা গৌতম কুন্ডু, পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত কাদের খানও এখন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পড়শি। তাদের মাঝেই রাত্রিযাপন পার্থর। সঙ্গী বলতে বই, কম্বল আর টেবিল ফ্যান। আর এক কোণে উঁচু দেওয়াল ঘেরা শৌচাগার। তবে একটি চৌকি আর কমোড পেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।